সব কিছু ঠিক থাকলে ইরানি কাপের প্রথম দিনই তিন অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারতেন। মন্দ আলোয়া দিনের খেলা তাড়াতাড়ি শেষ হয়েছিল। প্রথম দিনের শেষে ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিন কিছুটা সময় নিলেন। কিন্তু লক্ষ্যপূরণ হল না। লখনউয়ের অটল বিহারি বাজপেয়ী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পিচ ব্যাটিং সহায়ক। তবে দিনের প্রথম ঘণ্টা সতর্ক হয়ে খেলাই শ্রেয়। সেটাই করলেন মুম্বই ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে। একদিকে সরফরাজ খান দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন। অন্য দিকে, ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে। অবশেষে বাঁ হাতি পেসার যশ দয়ালের বোলিংয়ে হতাশা।
গত বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইনিংসের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছিলেন রাহানে। সেঞ্চুরি ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু যশ দয়ালের একটি বাউন্সার তাঁর স্বপ্নে জল ঢেলে দিল। কাউন্টি ক্রিকেটে অনবদ্য পারফর্ম করে ফিরেছেন। সাময়িক মনসংযোগে ব্যাঘাত, তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস রাহানের। যশ দয়ালের বাউন্সারে ব্যাট সরাতে চেয়েছিলেন রাহানে। যদিও বল থেকে চোখ সরিয়ে নেন। ব্যাট উপরে ছিল।
কাঁধের উচ্চতার বাউন্সার। মাথা নীচু করলেও ব্যাট নামাতে পারেননি। গ্লাভসে লেগে কিপার ধ্রুব জুরেলের হাতে ক্যাচ। অন ফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি। ধ্রুব জুরেল আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর পরামর্শেই রিভিউ নেন অবশিষ্ট ভারত একাদশের ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। রিপ্লে-তে ধরা পড়ে, বল গ্লাভসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় লেগেছে। ২৩৪ বলে ৯৭ রানে রাহানের ইনিংসের ইতি। ৭টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারিতে ইনিংস সাজিয়েছিলেন রাহানে।