মুম্বই: আইপিএল থেকে একাধিক তরুণ তুর্কি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। এ বার ডব্লিউপিএল (WPL) থেকেও সেই সুযোগ থাকবে। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে ভালো পারফর্ম করে টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন ভারতের একাধিক মহিলা ক্রিকেটার। ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামী (Jhulan Goswami)। মেয়েদের আইপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর। মুম্বইয়ের ক্রিকেটারদের তিনি অনুপ্রাণিত করছেন। কলকাতার সাইকা ইসাক (Saika Ishaque) এ বারের মেয়েদের আইপিএলে মুম্বইয়ের হয়ে খেলছেন। বর্তমানে মেয়েদের আইপিএলের সর্বাধিক উইকেটশিকারী (৬টি উইকেট) বোলার তিনিই। যে কারণে সাইকার দখলে রয়েছে পার্পল ক্যাপ। সাইকার মধ্যে ভারতের ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার ছাপ দেখছে ক্রিকেট মহল। ২৭ বছরের সাইকা জানিয়েছেন, প্রিয় ঝুলুদির থেকে জীবনের প্রথম ক্রিকেট কিট পেয়েছিলেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
কলকাতার পার্ক সার্কাস থেকে উঠে আসা সাইকার। ভারতের কিংবদন্তি তারকা ক্রিকেটার, মুম্বইয়ের মেন্টর ঝুলন গোস্বামী একটা সময় সাইকাকে ক্রিকেট কিট কিনে সাহায্য করেছিলেন। মুম্বইয়ের জার্সিতে নিজের জাত চেনানো সাইকা বলেন, “ঝুলুদি আমাকে আমার প্রথম ক্রিকেট কিট দিয়েছিল। ছেলেবেলা থেকেই তিনি আমাকে গাইড করেছেন এবং আমাকে সমর্থন করেছেন। আমার কেরিয়ারে তাঁর বিরাট অবদান রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আমার কোচ (বাংলার প্রাক্তন স্পিনার) শিবসাগর সিংয়ের কাছ থেকে লেফ্ট-আর্ম স্পিন করা শিখেছি। তিনি নিজেও একজন লেফ্ট-আর্ম স্পিনার। ঝুলন দি ও হরমন দি (অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর) এবং মুম্বইয়ের কোচরা সব সময় আমাদের পাশে দাঁড়ান। আমি যখনই বল করতে যাই হরমন দি আমাকে উদ্বুদ্ধ করেন। আমাদের হেড কোচ (শার্লট এডওয়ার্ডস) আমাকে বলেন, আমি সেরা এবং যে কারণে আমি সেরা পারফর্ম করতে পারব।” সাইকার কথা থেকেই পরিষ্কার হরমনপ্রীত-ঝুলনদের এই ব্যবহারই তাঁকে বিভিন্ন সময় আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
বাংলার মেয়ে সাইকা এখন থেকেই ভারতের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখছেন। তাঁর বাবার স্বপ্নও ছিল সাইকাকে টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে খেলতে দেখার। মেয়েদের আইপিএলে খেলার যে সুযোগ পেয়েছেন সাইকা, তা যথাযথ কাজে লাগাতে চান তিনি। সাইকা আরও বলেন, “আমার মা, বোনেরা এবং পরিবারের বাকি সদ্য ও আমার বন্ধুবান্ধবরা যারা কলকাতায় রয়েছে, তারা ডব্লিউপিএলটা দারুণ উপভোগ করছে। এমআইতে মনেই হয় না আমাদের সকলের এই প্রথমবার দেখা হয়েছে। আমাদের দলের মধ্যে পরিবেশটা দারুণ। আমরা খেতাব জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি।”