চেন্নাই : এ বারের আইপিএলের (IPL 2023) সবচেয়ে হট টপিক কী? ক্রিকেট প্রেমীদের সামনে এই প্রশ্ন রাখলে অনেকেই হয়তো বলবেন, বিরাট কোহলি বনাম নবীন উল হক। আইপিএলে এটাই আফগান পেসার নবীনের প্রথম মরসুম। আর আইপিএল ডেবিউতেই চমর বিতর্কে জড়িয়ে গেলেন নবীন। এ বারের আইপিএলে নবীনের পারফরম্যান্স খুব আহামরি নয়। ৮টি ম্যাচে খেলে ১১টি উইকেট নিয়েছেন। চলতি আইপিএলের তার পরও লখনউয়ের ম্যাচ থাকুক আর না থাকুক তিনি থাকেন শিরোনামে। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সঙ্গে ‘শত্রুতা’র খেলায় মজেছেন নবীন উল হক (Naveen ul Haq)। এই ভাবেই তিনি আসলে নিজেকে শিরোনামে রেখেছেন। বিরাটের সঙ্গে বিতর্কে জড়ানোর পর থেকে নবীনকে বিভিন্ন স্টেডিয়ামে গ্যালারির দর্শকের রোষে পড়তে হয়েছে। একাধিক ম্যাচে তাঁকে উদ্দেশ্য করে ‘কোহলি-কোহলি’ ধ্বনি তুলেছেন দর্শকরা। এই ধ্বনি নাকি নবীনকে আরও বেশি করে তাতায়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হেরে গিয়ে এ বারের মতো আইপিএল যাত্রা শেষ হয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্সটের। আর এলিমিনেট হয়েও কোহলি বিতর্ক জিইয়ে রাখলেন নবীন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
বিরাট-নবীন বিতর্কের সূত্রপাত ১ মে। আসলে এ বারের আইপিএলে প্রথম সাক্ষাতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলির আরসিবিকে ১ উইকেটে হারিয়েছিল লখনউ। হাড্ডাহাড্ডি সেই ম্যাচের পর সকলকে অবাক করে দিয়েছিল লখনউয়ের মেন্টর গৌতম গম্ভীরের সেলিব্রেশন। তিনি ডাগ আউটে রীতিমতো চিৎকার করছিলেন। এরপর মাঠে নেমে এসে আরসিবির সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে চুপ থাকার ইশারাও করেন গম্ভীর। সেই শুরু। এরপর ১ মে একানা স্টেডিয়ামে পাল্টা নেন বিরাট কোহলিও। একানা স্টেডিয়ামে আরসিবি বনাম এলএসজি ম্যাচে নবীনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন বিরাট। এরপর ওই ম্যাচেই গৌতম আর কোহলিরও বিরাট ঝামেলা হয়েছিল। বিরাট-গৌতম-নবীনের সেই ম্যাচের আচরণের জন্য ম্যাচ ফি কাটা হয়েছিল। তাতে বিতর্কে রেশ পড়েনি।
উল্টে নবীন উল হক সুযোগ পেলেই বিরাটকে খোঁচা দিয়ে ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করতে থাকেন। যার জেরে, ১ মে-র পর থেকে যে সকল ম্যাচে খেলেছেন নবীন তার প্রায় সবেতেই তাঁকে দেখলেই গ্যালারি চিৎকার করে উঠেছিল ‘কোহলি-কোহলি’। আর এ বার নবীন নিজেই জানালেন, কোহলি ধ্বনি নাকি তাঁকে আরও তাতিয়ে দিয়েছে। আফগান পেসার নবীন বলেন, ‘আমার তো ভালোই লাগে। মাঠে যখন সবাই ওর (কোহলির) নাম নিয়ে চিৎকার করে, তখন দলের হয়ে আমার আরও ভালো খেলার তাগিদ বেড়ে যায়। ওই ধ্বনি আমাকে তাতিয়ে দেয়। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও তেমনটাই সেটাই হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাইরে কে কী বলল তা দিকে আমি মাথা ঘামাই না। আমি শুধু নিজের খেলার দিকেই নজর দিই। গ্যালারি থেকে কার নামে জয়ধ্বনি হচ্ছে, বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কার নামে সমালোচনা হচ্ছে, তা নিয়ে ভাবার সময় আমাদের নেই। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এগুলো নিয়ে ভাবলে চলবে না। একদিন দলের হয়ে ভালো না খেললে সমালোচনা শুনতেই হবে। পরের দিন আবার ভালো খেললে সেই ক্রিকেটারের নামেই গ্যালারি থেকে ধ্বনি উঠবে। এগুলো তো খেলার অঙ্গ।’