টেস্ট কেরিয়ারে আরও একটা ফাইফার। সব মিলিয়ে ১৪তম। মর্যাদার ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৩৫ রানেই অলআউট করা। দিনের শেষে ব্যাপক স্বস্তিতে থাকতে পারতেন ভারতের অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাডেজা। কিন্তু সত্যিই কি পারলেন? হয়তো না। বরং বল হাতে তাঁর এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের দুরন্ত পারফরম্যান্সের পরও ব্যাকফুটেই থাকল ভারত। দিনের শেষ ১৫ মিনিটের মধ্যে সব যেন ওলট-পালট হয়ে গেল। স্বীকার করে নিলেন রবীন্দ্র জাডেজাও। কী বলছেন এই অলরাউন্ডার?
কেরিয়ারে ১৪তম ফাইফার নিয়ে জাডেজা বলছেন, ‘প্রতিটা ফাইফারই স্পেশাল। টিমের যখন ব্রেক থ্রু প্রয়োজন সেটা দিতে পারা। এত গরমে টিম হিসেবে সকলে চেষ্টা করছিল। আমিও একটু অবদান রাখতে পেরেছি। ব্যাটিংয়েও এটাই করতে হবে।’ ফাইফারের পথে দুই প্রাক্তন সতীর্থ জাহির খান ও ইশান্ত শর্মার টেস্ট উইকেট সংখ্যাও পেরিয়ে গিয়েছেন জাডেজা। যদিও জাড্ডু বলছেন, ‘জাহির, ইশান্তের বিষয়টা জানতাম না। সত্যি বলতে, সিরিজ শুরুর আগে এসব ভাবি না। বাড়িতে থাকলে বা খেলা না থাকলে এসব পরিসংখ্যান হয়তো নজরে আসে।’
কোন পথে এই ম্যাচে সাফল্য, তা পরিষ্কার করলেন জাডেজা। বলছেন, ‘পিচে বাউন্স থাকলেও গতি নেই। গতির হেরফের করতে হচ্ছিল। কাঁধে একটু বাড়তি চাপ পড়লেও সে কারণেই মাঝে মাঝে গতি বাড়াতে হত।’ তবে দিনের খেলা শেষ নিয়ে হতাশা কাটল না। যশস্বীর আউটের পরই নাইট ওয়াচম্যান সিরাজ গোল্ডেন ডাক, বিরাট কোহলি রান আউট। জাডেজা বলছেন, ‘শেষ ১৫ মিনিট অপ্রত্যাশিত। একটু ভুলবোঝাবুঝি, ভুল জাজমেন্টে এমন হয়ে যায়। আগামী কাল যেভাবেই হোক ২৩০ পার করতেই হবে।’