
সোশ্যাল মিডিয়া তখনও ছিল। এতটা জোরদার ছিল না। তবে সংবাদমাধ্যমে সে সময় একটাই খবর। ক্রিকেটে আজ সেই অভিশপ্ত দিন। নয় বছর হয়ে গেলেও যে মৃত্যু আজও ক্রিকেট প্রেমীদের কাঁদায়। যে মৃত্যু কোনওদিন মুছে ফেলা যাবে না। চোখের সামনে এই হাসিমুখ অমলীন থেকে যাবে। ঠিকই বুঝেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সেই তরুণ ক্রিকেটারের কথা বলা হচ্ছে। আজ সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রেন্ডিং #63notout। অপরাজিত ফিলিপ হিউজ। ফিরে দেখা সেই অভিশপ্ত ঘটনা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সালটা ২০১৪। দিনটা আজই। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেফিল্ড শিল্ডের খেলা চলছিল। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেনির ম্যাচ। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলছিলেন ফিলিপ হিউজ। দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন। তাঁকে বোলিং করছিলেন শন অ্যাবট। বর্তমানে ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে রয়েছেন শন। কিন্তু ২০১৪-র সেই ঘটনা এখনও তাড়া করে বেরায়। ২৫ নভেম্বর শন অ্যাবটের বাউন্সার থেকে মাথা সরাতে পারেননি ফিলিপ হিউজ। মাথার পেছনে বল লাগে। মাঠেই লুটিয়ে পড়েন ফিল। দ্রুত তাঁকে সিডনির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আর ফেরানো যায়নি। ২৬তম জন্মদিনের তিন দিন আগে, আজকের দিনে মৃত্যু হয় ফিলিপ হিউজের।
জাতীয় দলের ২৫টি ওয়ান ডে এবং ২৬টি টেস্ট খেলার সুযোগ হয়েছে। তাঁর টেস্ট ক্যাপ নম্বর ৪০৮। কেরিয়ারের শেষ ইনিংসে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪০৮ এবং ৬৩ নটআউট, এই নম্বর দুটি অমর হয়ে রয়েছে। ফিল হিউজের মৃত্যু নতুন করে ভাবাতে বাধ্য করেছিলেন ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাকে। হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক করা, নেক গার্ডের ব্যবহার। সঙ্গে আরও বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়। এখন কোনও ক্রিকেটারের হেলমেটে বল লাগলেই দ্রুত মাঠে ফিজিও আসেন, তাঁর কনকাশন পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে মাঠ ছাড়েন সেই ক্রিকেটার। চালু হয়েছে কনকাশন পরিবর্তনও। জীবন আগে, তার জন্যই এই নিয়ম।
ফিল হিউজের পরিচিত, তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ, কিংবদন্তি ক্রিকেটার থেকে অনুরাগী। সকলেই আজকের দিনে আরও বেশি করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ৬৩ নটআউটে, ফিল হিউজ আজও নটআউট।