Mohammed Shami-Hardik Pandya: কে চলে গেল, তাতে কিছু যায় আসে না… কাকে বিঁধলেন সামি?
Indian Cricket Team: দু'বছর আগে মুম্বই ছেড়ে গুজরাটের ক্যাপ্টেন হয়েছিলেন হার্দিক। নিজেকে প্রমাণ করার পাশাপাশি টিমকে চ্যাম্পিয়নও করেছিলেন প্রথম মরসুমে। পরের বার রানার্স। এমন ট্র্যাক রেকর্ড অনেকেরই নেই। যে কারণে হার্দিককেই সাদা বলের ফর্ম্যাটে দেশের নেতা ভাবা হচ্ছিল। চোটের কারে টিম থেকে ছিটকে গিয়েছেন তিনি। তাতেও বিতর্ক কমেনি। সামি সাধারণত বিতর্কিত মন্তব্য করেন না। এ বারও যে হার্দিকের বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন, তা নয়। তবে হার্দিকের চলে যাওয়া নিয়ে হাহুতাশ করার মতো কিছু ঘটেনি।
কলকাতা: রোহিত শর্মা বনাম হার্দিক পান্ডিয়া বিতর্ক এখনও থামেনি। রোহিতের মতো অত্যন্ত সফল ক্যাপ্টেনকে কেন সরিয়ে দেওয়া হল নেতৃত্ব থেকে? এই প্রশ্ন এখনও থামেনি। তার মধ্যে গুজরাট টাইটান্স ছেড়ে হার্দিক পান্ডিয়া কেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে গেলেন? অনেক গল্প এখনও ছড়িয়ে রয়েছে ক্রিকেট মহলে। নানা অঙ্ক, নানা কারণ তুলে ধরছেন ক্রিকেট ভক্তরা। কেউ কেউ আবার এও বলছেন, মুম্বইয়ের নেতা হওয়ার সুযোগ ছাড়তে পারেননি হার্দিক। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন মহম্মদ সামির মতো সিনিয়র প্লেয়ার আবার অন্য রাস্তায় হাঁটলেন। হার্দিক চলে যাওয়ায় কি চাপে পড়ে গেল গুজরাট? এই প্রশ্নের উত্তরে বাউন্সারই দিলেন বাংলার পেসার। সাফ বলে দিলেন, হার্দিক চলে যাওয়ায় কারও কিছু যায় আসে না! বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
দু’বছর আগে মুম্বই ছেড়ে গুজরাটের ক্যাপ্টেন হয়েছিলেন হার্দিক। নিজেকে প্রমাণ করার পাশাপাশি টিমকে চ্যাম্পিয়নও করেছিলেন প্রথম মরসুমে। পরের বার রানার্স। এমন ট্র্যাক রেকর্ড অনেকেরই নেই। যে কারণে হার্দিককেই সাদা বলের ফর্ম্যাটে দেশের নেতা ভাবা হচ্ছিল। চোটের কারে টিম থেকে ছিটকে গিয়েছেন তিনি। তাতেও বিতর্ক কমেনি। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই সামি বলে দিচ্ছেন, ‘কে চলে গেল, তাতে কারও কিছু যায় আসে না। হার্দিক গুজরাট ছাড়তে চেয়েছিল, চলে গিয়েছে। ক্যাপ্টেন হিসেবে ও টিমকে দু’বার ফাইনালে তুলেছে। একবার টিমকে চ্যাম্পিয়নও করেছে। তার মানে এই নয় যে, ও গুজরাটের সঙ্গে চিরকাল জড়িয়ে থাকবে।’
সামি বরাবরই তাঁর আগ্রাসী বোলিংয়ের মতোই কথা বলেন। সোজা কথা সোজা ভাবেই বলতে ভালোবাসেন। হার্দিক চলে যাওয়ার পর সিনিয়র কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে নতুন শুভমন গিলকে নেতা করা হয়েছে। স্পোর্টস টোয়েন্টি-ফোরকে দেওয়া ইন্টারভিউতে সামি স্পষ্ট কথায় বলেছেন, ‘শুভমন গিলও অভিজ্ঞ হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে ও কিন্তু একদিন অন্য ফ্র্যাঞ্চাজিতে চলে যেতেই পারে। কারও চলে যাওয়া আটকানো যায় না। এটা খেলার অঙ্গ।’
সামি সাধারণত বিতর্কিত মন্তব্য করেন না। এ বারও যে হার্দিকের বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন, তা নয়। তবে হার্দিকের চলে যাওয়া নিয়ে হাহুতাশ করার মতো কিছু ঘটেনি। গুজরাট আগামী আইপিএল মরসুমে আবার সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করবে।