Sachin Tendulkar: শত সেঞ্চুরির এক দশক পার, সচিনের কীর্তি ১০০ বছরেও কি ভুলতে পারবে ক্রিকেট জগৎ?

TV9 Bangla Digital | Edited By: তিথিমালা মাজী

Mar 16, 2023 | 5:17 PM

বিশ্বজুড়ে যত তাবড় তাবড় ক্রিকেট টিম রয়েছে সবার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। কিন্তু ১৬ মার্চ দিনটি সচিনের কাছে একটু বেশিই স্পেশাল। ক্রিকেট ফ্যানদের জন্য স্পেশাল। ১০০ বছরেও যার মহিমা হয়তো কম হবে না।

Sachin Tendulkar: শত সেঞ্চুরির এক দশক পার, সচিনের কীর্তি ১০০ বছরেও কি ভুলতে পারবে ক্রিকেট জগৎ?
Image Credit source: Twitter

Follow Us

কলকাতা: ততদিনে ওডিআই বিশ্বকাপ জেতা হয়ে গিয়েছে। ক্রিকেট কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে ধরা হয় যাকে। যে কোনওদিন অবসর নিতে পারেন ‘গড অব ক্রিকেট’। অপেক্ষায় দিন গুনছিল ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু মাস্টার ব্লাস্টারের (Sachin Tendulkar) লক্ষ্য অন্য। ছোট ছোট পদক্ষেপ ফেলে লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছেন গোটা কেরিয়ার জুড়ে। ব্যাটে সেই পুরনো ধার আর দেখা যাচ্ছিল না ঠিকই, তবে ফুরিয়ে যাননি। সেটা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন। ৯৯ টি শতরানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর একটা সেঞ্চুরি মানেই ক্রিকেটের ইতিহাসে শততম সেঞ্চুরির (100th Century) মালিক। ২০১২ সালের ১৬ মার্চ সচিন ও তাঁর অনুরাগীদের মনের ইচ্ছে পূরণ করে দেন ক্রিকেট দেবতা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সচিন ৯৯তম শতরান হাঁকিয়েছিলেন বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে। ২০১১ সালের ১২ মার্চ ১১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সচিন। এরপর সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি দীর্ঘ অপেক্ষা। একাধিকবার শতরানের খুব কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে। হতাশ হয়েছেন সচিন। ভেঙে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা। দিনটি এল ২০১২ সালের এশিয়া কাপের সময়। মীরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন মাস্টার ব্লাস্টার। অনেকে সচিনের এই শতরানকে তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে জঘন্য সেঞ্চুরি বলে থাকেন। যাই হোক, শতরানের সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়ে যায় সেদিনই।

৩৬৯ দিন, ২৩টি ম্যাচ এবং ৩৪টি ইনিংসের অপেক্ষার অবসান হয়েছিল সেদিন। মাত্র ৬৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। সেদিন বিরাট কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধে ১৪৮ রান তুলেছিলেন সচিন। গুটি গুটি পায়ে যিনি এগোচ্ছেন সচিনের শতরানের রেকর্ড ভাঙার দিকে। ইতিমধ্যেই ৭৫ হয়ে গিয়েছে। আরও ২৫টির প্রয়োজন। সিঙ্গল নিয়ে শতরান হতেই ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে উৎসব শুরু হয়ে যায়। ক্রিকেট ফ্যানরা মাথা ঝুঁকিয়ে তাঁকে কুর্নিশ জানান। সচিন নিজে শান্ত ভঙ্গিতে হেলমেট খুলে আকাশের দিকে ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন। এই দিনটির জন্য কতটা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তা ধরা পড়ছিল তাঁর মুখের জ্যামিতিতে।

Next Article