করাচি: সারাক্ষণ কি ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেয় নাকি কেউ কেউ? কিংবা ড্রেসিংরুমে পা রাখলেই পাওয়া যায় নাক ডাকার আওয়াজ? এমন তথ্য এখনও মেলেনি। এমনও হতে পারে, খবর চেপে রাখা হয়েছে। কিন্তু চাইলেও কি সব ধামাচাপা দেওয়া যায়? ঘুম কাতুরে ক্রিকেটারের নাম হয়তো জানা যায়নি। ঘুম মহামারীর মতো ছড়িয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। না হলে কড়া হাতে সামলাতে হবে কেন? ঘুম ওড়াতে জরিমানাই বা করা হবে কেন? অন্য কোনও খেলায় এমন ঘুমের গল্প থাকে না। ক্রিকেটের মতো দীর্ঘমেয়াদি খেলাতেই ঘুম ঢুকে পড়ে। এই তো ক’দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার তেম্বা বাভুমা ক্যাপ্টেন্স-মিটে ঘুমের দেশে তলিয়ে গিয়েছিলেন। আসলে দিনভর খেলা যখন, দুপুরে পেটে কিছু পড়লে চোখ ঢুলে আসাটা স্বাভাবিক। তাই বলে টিমকে রসাতলে পাঠিয়ে ঘুম? পাকিস্তান মানবে কী করে? তাই শুরুতে চোখরাঙানি, তাতেও কাজ না হওয়ায় জরিমানার হুমকি দিয়ে রাখল পিসিবি (PCB)।
বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হুড়মুড়িয়ে পাকিস্তানের ইনিংস ভেঙে পড়ার পেছনে ঘুম কোথাও শত্রুতা করেছে কিনা জানা নেই। কিন্তু পাক ক্রিকেট টিমের জন্য এ বার এক কড়া নিয়ম নিয়ে হাজির পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মহম্মদ হাফিজ। কোনও ম্যাচ চলাকালীন পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে কেউ ঘুমিয়ে পড়লেই বিপদ। যে ক্রিকেটার ড্রেসিংরুমে ঘুমিয়ে পড়বেন, তাঁকে ৫০০ ডলার আর্থিক জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ কোনও পাক ক্রিকেটার এ বার থেকে যদি ড্রেসিংরুমে গা এলিয়ে দেওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েন, তা হলেই ৪২ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে তাঁকে। পাক টিমের অস্ট্রেলিয়া সফরে এই নিয়ম চালু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টে ৭৯ রানে হেরেছে শান মাসুদের পাকিস্তান।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও সুপারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ক্রিকেটারদের এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানের ম্যাচ চলাকালীন একাদশের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ কেউ ড্রেসিংরুমে ঘুমিয়ে পড়তেন। যা পিসিবির আগের ম্যানেজমেন্ট থাকাকালীনও দেখা গিয়েছিল। এ বার তাই হাফিজের নতুন টিম ম্যানেজমেন্ট এই নিয়ে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে। তাই এ বার থেকে টিম হোটেলের বাইরে পাক ক্রিকেটারদের আর ড্রেসিংরুমে ঘুমোনোর সুযোগ থাকছে না।