IPL 2023, KKR vs PBKS : ‘মিস্ট্রি স্পিনার’দের রহস্য উদ্ধার করতে পারল না পঞ্জাব, কেকেআরের লক্ষ্য ১৮০
Kolkata Knight Riders vs Punjab Kings : পঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান ৪১ বলে অর্ধশতরান করেন। বেশ কিছু ম্যাচেই তাঁর স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। নীতীশ রানার 'গোল্ডেন আর্ম' কাজে দিল। রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন ধাওয়ান। লং অনে বৈভব অরোরার ক্যাচে ৪৭ বলে ৫৭ রানে ফেরেন ধাওয়ান।
দীপঙ্কর ঘোষাল : কেকেআরের কাছে সব ম্যাচই এখন নকআউট। প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখতে বাকি সব ম্যাচই জিততে হবে। ঘরের মাঠে পঞ্জাবকে হারাতে প্রয়োজন ১৮০ রান। পাওয়ার প্লে-তে ৫৮ রান তুললেও তিন উইকেট হারানো চাপের হয়ে দাঁড়ায় পঞ্জাবের কাছে। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্জাব কিংস। শুরুটা ভালোই হয়েছিল। পঞ্জাব শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন হর্ষিত রানা। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে কেকেআরের পেসার বৈভব অরোরা জানিয়েছিলেন, নতুন বলে মুভমেন্ট পাওয়া যাবে। কেকেআরের পেস জুটি বৈভব অরোরা এবং হর্ষিত রানা বিব্রত করছিলেন। প্রভসিমরণ ঝড় তোলার চেষ্টা করলেও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পাওয়ার প্লে-তে জোড়া উইকেট নেন হর্ষিত রানা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে আক্রমণে আনা হয়। পঞ্জাবের বিধ্বংসী ব্যাটার লিয়াম লিভিংস্টোনকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন বরুণ। পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান করে পঞ্জাব। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আগের দিন পঞ্জাব কিংসের ব্যাটিং কোচ ওয়াসিম জাফরের মুখে কেকেআরের স্পিন ত্রয়ীর প্রশংসা শোনা গিয়েছিল। প্রশংসার সঙ্গে ছিল ভাবনাও। বরুণ চক্রবর্তী, সূয়াশ শর্মা এবং সুনীল নারিন। শেষের জন এ বারের আইপিএলে ধারাবাহিক নন। তিন স্পিনারকে সামলাতেই হিমসিম খেলেন পঞ্জাব ব্যাটাররা। পিচ থেকে টার্নও পাচ্ছিলেন সূয়াশ, বরুণরা। পঞ্জাব ব্যাটাররা মূলত টার্গেট করলেন ক্লাব হাউসের বাঁ-দিকের বাউন্ডারির দিকে। চার নম্বর পিচে খেলা হচ্ছে। স্কোয়ার বাউন্ডারির পার্থক্য অনেকটাই। একদিকে ৫৮ মিটার অন্য দিকে ৭১ মিটার। স্পিনারদের বোলিংয়ে বেশির ভাগ বাউন্ডারি এল ৫৮ মিটারের দিকেই।
কেকেআর শিবিরকে কিছুটা চাপে রেখেছিলেন পঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। স্পিনাররা সাহায্য পাচ্ছেন দেখে ১৫তম ওভারে হাইকোর্ট প্রান্ত থেকে বোলিংয়ে আসেন কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানা। পঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান ৪১ বলে অর্ধশতরান করেন। বেশ কিছু ম্যাচেই তাঁর স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। নীতীশ রানার ‘গোল্ডেন আর্ম’ কাজে দিল। রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন ধাওয়ান। লং অনে বৈভব অরোরার ক্যাচে ৪৭ বলে ৫৭ রানে ফেরেন ধাওয়ান। বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। সূয়াশ স্পেলের শেষ ওভারে ১ উইকেট নেন। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট। সুনীল নারিন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ২৯ রান। মূলত কেকেআরের স্পিনত্রয়ীর সৌজন্যেই বিশাল স্কোর গড়তে পারল না পঞ্জাব। তবে কেকেআরের স্পিনাররা যেভাবে সাহায্য পেলেন, এই রান নিয়ে চাপে ফেলতে পারে পঞ্জাবও। তাদের দলে রাহুল চাহার, হরপ্রীত ব্রার এবং লিভিংস্টোনের মতো স্পিনার রয়েছেন। শেষ দিকে ১৬ বলে ৪০ রানের জুটি গড়ে শাহরুখ খান-হরপ্রীত ব্রার। না হলে আরও কম রানের টার্গেট থাকত কেকেআরের।