
বিশ্বরেকর্ড, রাতারাতি আলোচনায় এসেছিলেন এক তরুণ ক্রিকেটার। মহারাষ্ট্রের ক্রিকেটার হওয়ায় দ্রুতই শুরু হয়ে যায় সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তুলনা। কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তুলনার কারণও ছিল। স্কুল ক্রিকেটে সচিনও অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছিলেন। আর পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক স্তরে একের পর এক কীর্তি স্থাপন করেছিলেন। প্রণব ধানাওয়াড়ে সাড়া ফেলেছিলেন স্কুল ক্রিকেটে এক ইনিংসে হাজার রান করে। যা বিশ্ব রেকর্ড। এক ইনিংসে তিনি করেছিলেন ১০০৯ অপরাজিত। যাঁরা এই ইনিংস কিংবা প্রণবের নামটা মনে রেখেছেন, স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে, এখন কোথায় তিনি?
ভারতীয় ক্রিকেটে এমন অনেক নতুন প্রতিভাই উঠে আসে। সকলেই যে নিজেদের ধরে রাখতে পারেন তা নয়। অনেকেই কীর্তি গড়েও হারিয়ে যান। একটা সময় বিনোদ কাম্বলিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হত। তাঁর যা প্রতিভা ছিল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই ছাপ পাওয়া যায়নি। তেমনই মুম্বইয়ের আর এক ক্রিকেটার পৃথ্বী শ-এর কথাও ভুললে চলবে না। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতিয়ে নায়কের তকমা পেয়েছিলেন। দ্রুতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ডাক পান। হাতে গোনা কিছু ম্যাচ খেলেন। টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরিও করেন, কিন্তু ক্রমশ হারিয়ে গিয়েছেন। মুম্বই রঞ্জি টিম থেকেও বাদ পড়ায় আগামী মরসুমে মহারাষ্ট্রের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আসা যাক প্রণব ধানাওয়াড়ে প্রসঙ্গে। স্কুল ক্রিকেটে সেই ১০০৯ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলার পর প্রচারের আলোয় এসেছিলেন প্রণব। কিন্তু দ্রুত হারিয়েও গিয়েছিল। ২০১৫-২০১৬ মরসুমে আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় আর্য গুরুকুলের হয়ে এই অভাবনীয় ইনিংস খেলেন। স্বপ্ন ছিল, রঞ্জি ট্রফিতে খেলবেন, দেশের হয়েও। কিন্তু এগোতে পারেননি। বরং ওই ইনিংসের পর ক্রিজে নামলেই পাহাড় প্রমাণ চাপ ঘিরে ধরত, সেটাই জানিয়েছিলেন একটি সাক্ষাৎকারে।
কয়েক বছর ২০২২ সাল নাগাদ প্রণব ধানাওয়াড়ে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি ইংল্যান্ডের একটি ক্লাবে খেলতে যাচ্ছেন। ম্যাঞ্চেস্টার থেকে সামান্য দূরেই নরউইচ ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। তাতেও অবশ্য কেরিয়ারে বড় কোনও বদল আসেনি। কোভিড এবং লকডাউনের ফলে কেরিয়ারে অনেক বাধা এসেছে, এমনটাও জানিয়েছিলেন। ক্রিকেট কেরিয়ারে দুটো বছর হারিয়ে যাওয়া তাঁর কাছে বড় ধাক্কা এমনটাই জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে মুম্বইয়ের বি ডিভিশনে ভিক্টরি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেন। কর্পোরেট টুর্নামেন্টে এয়ার ইন্ডিয়ার হয়েও খেলেছেন। সম্প্রতি নবি মুম্বই প্রিমিয়ার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলেছিলেন। যদিও খুব একটা সাফল্য পাননি।