
কলকাতা: ফিরে আসার স্বপ্ন সাজাচ্ছিলেন কয়েক মাস ধরে। ফিরে পাওয়া নিজেকে। ফিরে পাওয়া হারিয়ে ফেলা দুনিয়া। সেই কাজ শুরু করে দিলেন। মাঝে কয়েকটা বছর বারবার শৃঙ্খলা নিয়ে কথা উঠেছে। তাঁর বন্ধুমহলও নিয়েও উঠেছে কথা। বলা হয়েছে, প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে নষ্ট করে ফেলছেন। কেউ কেউ বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে তুলনাও করেছেন তাঁর। সেই পৃথ্বী শ বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ফিরে আসতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মহারাষ্টের হয়ে খেলতে নেমেই চমকে দেওয়া পারফরম্যান্স করলেন পৃথ্বী।
মুম্বইয়ের হয়ে গত মরসুমে সৈয়দ মুস্তাক আলি খেলেছিলেন। তারপর ওয়ান ও রঞ্জি, দুই ফর্ম্যাট থেকেই বাদ পড়ে যান। আইপিএলেও কোনও টিম কেনেনি তাঁকে। পৃথ্বীকে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। তরুণ ক্রিকেটারের হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে আবার ফিরলেন। মুম্বই ছেড়ে মহারাষ্ট্রে যোগ দিয়েছে। সেই নতুন দলের হয়ে খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি করলেন পৃথ্বী।
বুচিবাবু টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন। একদিকে বিধ্বংসী, অন্যদিকে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১২২ বল নিয়েছেন সেঞ্চুরি করতে। মেরেছেন ১৪টা চার ও একটা ছয়। মহারাষ্ট্রের শুরুটা ছিল মন্থর। অন্য ওপেনার সচিন ধাসের সঙ্গে ৭১ রানের পার্টশিপ তৈরি করেন। এর পরই মহারাষ্ট ১৫ রানে ৪ উইকেট হারায়। তখনই হাল ধরেন পৃথ্বী। উল্টো দিকে পর পর উইকেট পড়লেও তাঁকে টলানো যায়নি। সিদ্ধার্থ মাত্রের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রানের পার্টনারশিপ করেন। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করেন পৃথ্বী।
মহারাষ্টের হয়ে নিজেকে তুলে ধরাই শুধু নয়, আইপিএলে ফেরা প্রাথমিক লক্ষ্য পৃথ্বীর। সেই সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করতে চান মুম্বইয়ের তরুণ ক্রিকেটার। আর তাই নিজেকে সব কিছু থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। ইদানীং একটি ফ্ল্যাটে আলাদা থাকেন, যাতে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেতে পারেন। ছেলেবেলায় যেভাবে প্র্যাক্টিস করতেন, আবার সেই বেসিকে ফিরে গিয়েছেন। তারই ফল মিলল। তবে পৃথ্বীও জানেন, একটা সেঞ্চুরিতে হারানো দুনিয়া ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাঁকে ঝুরিঝুরি রান করতে হবে।