বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম দুই সংস্করণেই ফাইনালে উঠেছে ভারত। কিন্তু দু-বারই রানার্স। গত ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। ওভালের ফাইনালে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৪ ও ২৭ রান করেন চেতেশ্বর পূজারা। প্রথম ইনিংসে জাজমেন্ট দিয়ে বোল্ড হন। দ্বিতীয় ইনিংসে সেট হয়েও বাউন্সারে খোঁচা মেরে। ভারতীয় টপ অর্ডারই কার্যত ব্য়র্থ। যদিও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে হারের পর টেস্ট টিম থেকে বাদ পড়েন পূজারাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের স্কোয়াডে তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হয়। অনেকেই ব্যর্থ হলেও তাঁকেই শুধুমাত্র দল থেকে ছেঁটে ফেলায় অপমানিত পূজারা। একটি সাক্ষাৎকারে এ কথাই বলেন পূজারা। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে কাউন্টি ক্রিকেটে চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করেছিলেন পূজারা। ১০৩ টেস্টের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পূজারা বলেন, ‘গত কয়েক বছর কেরিয়ারে অনেক চড়াই উতরাই হয়েছে। একজন ক্রিকেটারের কাছে এটা পরীক্ষা। ততদিনে ৯০টির বেশি টেস্ট খেলার পরও নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছিল। কেন দলে থাকার যোগ্য, সেই প্রমাণ দিতে হয়েছে বারবার। এটা অন্য ধরনের চ্যালেঞ্জ।’
এ বারের বাদ পড়াই কি বেশি কষ্ট দিয়েছে! পূজারা আরও যোগ করেন, ‘কখনও হতাশা আসে। ৯০টির বেশি টেস্ট, ৫-৬ হাজার, যা রানই করে থাকি, এর পরও যদি বারবার নিজেকে প্রমাণ করতে হয়, সেটা মেনে নেওয়া সহজ নয়। কখনও কখনও ইগোর লড়াই চলে। নিজের মধ্যে সন্দেহ জাগে, সত্যিই কি আমি যোগ্য! বারবার যদি নিজেকে প্রমাণ করতে হয়, মনে হয়, এগুলো পাওয়ারও কি যোগ্য!’
কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্সে খেলছেন পূজারা। গত মরসুমের মতো এ বারও তাঁর ব্যাটে রান আসছে। কিন্তু জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার হতাশা চেপে রাখা সম্ভব নয়। ভারতীয় দলকে এখনও অনেক কিছু দেওয়ার বাকি আছে, এমনটাই মনে করেন পূজারা। বলছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে নিজের অবদান সম্পর্কে জানি। আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে। অতীতে আমাকে কেউ একজন একটা পরিসংখ্যান বলেছিল। দেশের হয়ে যে ম্যাচে ৭০-৮০ ওপর রান করেছি, ভারত হয় সেই ম্যাচ জিতেছে কিংবা হারেনি।’