দীপঙ্কর ঘোষাল : রাস্তা কঠিন। তবে সুযোগ থাকল রাজস্থান রয়্যালেসর সামনে। এ বারের মতো আইপিএলে বিদায় পঞ্জাব কিংসের। গত ম্যাচে জয়ের দোরগোড়া থেকে ফেরাটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াল। পঞ্জাব কিংস টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো করলেও তাদের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত অবাক করেছে মরসুমে। শেষ দিকে যেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারল না পঞ্জাব। গত ম্যাচে ধর্মশালায় দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বার অ্যাডভান্টেজে ছিল পঞ্জাব কিংস। যদিও হেরে মাঠ ছাড়তে হয়। ধর্মশালায় পঞ্জাব কিংসকে হারাতে পারলেও খুব একটা লাভ হত না। তবে অঙ্কের বিচারে টিকে থাকত। ব্যাটিং-ফিল্ডিং ভরাডুবিতে এই ম্যাচেও হার। রাজস্থান রয়্যালস ১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জিতল। ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবলে পঞ্চম স্থানে। এখন বাকি ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া বিকল্প নেই। ম্যাচ জিতেও স্বস্তিতে নেই রাজস্থান শিবির। ম্যাচ শেষে কী বললেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
রান তাড়ায় শুরুতেই জস বাটলারের উইকেট হারায় রাজস্থান রয়্যালস। এ মরসুমে পঞ্চম বার শূন্য রানে ফিরলেন বাটলার। তবে যশস্বী জয়সওয়াল এবং দেবদত্ত পাডিকালের অর্ধশতরান রাজস্থানকে দৌড়ে রাখে। নেট রানরেটে আরসিবিকে ছাপিয়ে যেতে ১৮.৫ ওভারের মধ্যে জিততে হত। সেটা হল না। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন বলেন, ‘শেষ দিকে শিমরন হেটমায়ার যে ভাবে খেলছিল, মনে হয়েছিল এর মধ্যে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারব।’
মরসুমের শুরুটা যেমন ছিল কিংবা রাজস্থানের যা টিম এমন কঠিন পরিস্থিতিতে থাকার কথা হয়তো ছিল না। প্রাপ্তি যশস্বী জয়সওয়াল। আনক্যাপড প্লেয়ারদের মধ্যে এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও গড়লেন যশস্বী। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও স্বীকার করে নিলেন, মরসুমটা এমন প্রত্যাশা করেননি। সঞ্জু যোগ করলেন, ‘আমাদের যেমন দল, পয়েন্ট টেবলে এই পরিস্থিতিতে থাকব, সেটা ভাবতেই কেমন লাগে। যদি মরসুমটা ফিরে দেখি, অনেক কিছু নিয়েই আলোচনার জায়গা রয়েছে।’ প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে যশস্বী প্রসঙ্গে বলেন, ‘ও এই বয়সে যে ভাবে ব্যাট করছে, তাতে মনে হয় যেন ১০০ টি-টোয়েন্টি খেলে নিয়েছে।’