সেঞ্চুরিয়ন: বক্সিং ডে টেস্ট (Boxing Day Test) দিয়ে শুরু হতে চলেছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। রাবাডাদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে কী হতে চলেছে ভারতের প্রথম একাদশ? এই নিয়ে একটা ইঙ্গিত মেলার অপেক্ষায় ছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু সে গুড়ে বালি! টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে প্রেস কনফারেন্স করলেন ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। তবে সেখানে তিনি ভারতের প্রথম একাদশ নিয়ে খোলসা করলেন না। প্রেস কনফারেন্সে দ্রাবিড় যা যা বললেন,
টেস্ট দলের পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে গেলে, আমাদের সিরিজটা জিততেই হবে। আমরা সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতেছি। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওদের ঘরের মাঠে জেতাটা কঠিন হতে চলেছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালটাও আমাদের মাথায় রয়েছে। আশা করি, আমরা প্রতিদিন উন্নতি করব এবং আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাব। একজন প্লেয়ার হিসেবে, অধিনায়ক হিসেবে বিরাটের দায়িত্ব, ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ও এমন একজন প্লেয়ার, যে টেস্ট ক্রিকেট ভালোবাসে।
অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, তা যথেষ্ট ইতিবাচক। ও এই সপ্তাহে ভালো অনুশীলন করেছে। এবং সত্যিও ও ভালো জায়গায় আছে বলেই মনে হচ্ছে। চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গেও আমাদের পরিষ্কার আলোচনা হয়েছে। এই ধরণের পরিস্থিতিতে দলের জয়টাই গুরুত্বপূর্ণ। আর যার জন্য প্রত্যেকের পারফরম্যান্সের দিকে নজর দিতে হবে। আমাদের সবার কাছ থেকে কিছু না কিছু আশা রয়েছে। এবং এই নিয়েই আমাদের কথা হয়েছিল। এটা শুধু পূজারা, রাহানে বা কোহলির কথা নয়। দলের প্রত্যেককেই একই কাজ করতে হবে।
প্রস্তুতি ম্যাচ সত্যিই অনেকটা সাহায্য করে। কিন্তু আমরা যে পরিস্থিতিতে রয়েছি, তাতে সেটা সম্ভব হয়নি। আমরা সেন্টার উইকেট সেশনেই সময় কাটিয়েছি। এই পরিস্থিতিতে এর থেকে বেশি চাইতে পারতাম না আমরা। আমার মনে হয়, আমরা তৈরি।
এই পরিস্থিতিতে যে কোনও ব্য়াটারের ভালো পারফর্ম করার দারুণ সুযোগ। একজন প্লেয়ারের কেরিয়ারের অনেকটা সময়ই আলোচনায় থাকে এই সব পারফরম্যান্সগুলো। দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো প্লেয়ারকে বাদ দেওয়া সহজ নয়। স্পষ্টতই, মাঝে মধ্যেই আমাদের কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য আমরা প্রথম একাদশ নিয়ে বেশ ভালো আলোচনা করেছি।
এটা নির্বাচকদের ব্যাপার। আমি এই বিষয়ে আলোচনার মধ্যে যেতে চাই না। প্লেয়ারদের সঙ্গে আমার ব্যাক্তিগত যা কথোপকথন হয়েছে তা আমি জানাতে চাই না। সেটা জনসমক্ষে আসার মতো বিষয়ও নয়।
ওরা প্রত্যেকেই পেশাদার। কখনও কখনও, অবশ্যই দল বাছতে গিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই পরিস্থিতিটা বেশ কঠিন। কিন্তু তারা সবাই পরিস্থিতি বোঝে। সকলে ব্যাপারটা কীভাবে নেই সেটাই হবে আসল পরীক্ষা।
দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবেশের কারণে এখানে খেলাটা সব সময়ই চ্যালেঞ্জের। উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। বিশেষ করে যখন আমরা সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ক’দিন নেটে অনুশীলনের সময়ও যেটা হয়েছে। তবে যত দিন গেছে, ছেলেরা মানিয়ে নিয়েছে। আমার মনে হয়, আমাদের দলের মান যথেষ্ট ভালো এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের দলের খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আমাদের কয়েকজন তরুণ প্লেয়ার রয়েছে, যাদের এটাই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। অনুশীলন ভালো হয়েছে। এ বার সিরিজ শুরু হলে মানিয়ে নেওয়ার এবং যথাসাধ্যভাবো জেতার চেষ্টা করব।
ভালো করা অবশ্য়ই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার মানে এই নয়, সেটাই সব। তবে প্রথম ম্যাচে জেতাটা সব সময়ই ভালো। তা হলেই আমরা বিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করতে পারব।
আমাদের আক্রমণ আরও অভিজ্ঞ, কিন্তু ওদের কাছে কিছু ভালো মানের বোলার রয়েছে। আমরা অবশ্যই তাদের হালকাভাবে নেব না। আমাদের বোলারদের যদি ২০ উইকেট নিতে হয়, আমাদের ব্যাটারদেরও ভালো রান করতে হবে।
প্রথম একাদশ সম্পর্কে আমরা আমাদের গ্রুপের মধ্যে ভীষণ পরিষ্কার। আমরা সেভাবেই এগোতে চলেছি। আমি আমাদের প্রথম একাদশ এখনই প্রকাশ করতে চাই না।