
ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছিলেন। টেস্ট স্কোয়াডে এর আগেও ডাক পেয়েছিলেন। যদিও খেলার সুযোগ পাননি। অবশেষে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশাখাপত্তনম টেস্টে অভিষেক হয় রজত পাতিদারের। দীর্ঘ অপেক্ষা নিয়ে তাঁকে প্রশ্নও করা হয়েছিল। ৩০ বছরে টেস্ট অভিষেক! অনেকেই অবাক হলেও রজত পাতিদার নিজে অবাক হননি। মজার ছলেই বলেছিলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে অপেক্ষার বিষয়টি নতুন নয়।’ অনেকেই ওয়েটিং লিস্টে থাকে। সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে হয়। রজত পাতিদার যেন সেই সুযোগটাই হারালেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কেরিয়ারের অভিষেক সিরিজই কি শেষও হতে চলেছে? পরিস্থিতি এমনই। রাঁচি টেস্ট জিতে রোহিত শর্মা প্রেস কনফারেন্সে তরুণদের প্রশংসায় মেতেছেন। তেমনই খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মন্তব্যও করেছেন। রোহিতের পরিষ্কার কথা, ‘যাঁদের খিদে রয়েছে, তাঁরাই খেলবে।’ রজত পাতিদারের মধ্যে আদৌ কি সেই খিদে দেখতে পেয়েছেন? তিন টেস্টে রজত পাতিদারের অবদান ৬৩ রান। সর্বাধিক ৩২। সেটা এসেছিল অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে। এরপর থেকে তাঁর স্কোর ৯, ৫, ০, ১৭ এবং রাঁচি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ০।
বয়সের কারণে এমনিতেই ব্যাকফুটে ছিলেন রজত পাতিদার। কয়েকটা বছরও জাতীয় দলে খেলতে হলে এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হত। যা পারেননি রজত। রবি শাস্ত্রী, সঞ্জয় মঞ্জরেকর, গ্রেম সোয়ানের মতো ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ধারাভাষ্যকার দিচ্ছেন। এই সিরিজে অভিষেক হওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাঁরা। ধ্রুব জুরেল, সরফরাজ খান, শোয়েব বশির, টম হার্টলির মতো ক্রিকেটারদের কথা বললেও তাঁদের মুখেও নেই রজত পাতিদারের নাম।
ধরমশালায় বিরাট কোহলি ফিরলে এমনিতেই জায়গা ছাড়তে হবে রজতকে। কোহলি না ফিরলেও শেষ ম্যাচে রজতের পরিবর্তে খেলার সম্ভাবনা প্রবল দেবদত্ত পাড়িক্কালের।