কলকাতা : রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম দিন বোলারদের দাপট। দ্বিতীয় দিন বাংলার ব্য়াটাররাও ভরসা দিলেন। নকআউটের ম্যাচ পাঁচ দিনের। ফলে এখনই বলা যাবে না, ম্যাচ পুরোপুরি বাংলার নিয়ন্ত্রণে। তবে প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ লিড নিল বাংলা। গত কয়েক মরসুম ধরেই একটা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। গ্রুপ পর্বে অনবদ্য খেলছে বাংলা, নকআউটের প্রথম ধাপেও ভালো পারফরম্য়ান্স হচ্ছে। কিন্তু ফাইনাল অবধি পৌঁছলেও ট্রফি আসছে না। এ বার কী সেই ধারা বদলাবে? তার আগে বেশ কয়েকটা ধাপ পেরোতে হবে বাংলাকে। আপাতত কোয়র্টার ফাইনালের ধাপ পেরিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়াই লক্ষ্য। বাংলা বনাম ঝাড়খণ্ড কোয়ার্টার ফাইনালের বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
বাংলার ওপেনিং জুটির সমস্যা যদিও মিটল না। এ মরসুমে নানা কম্বিনেশন দেখেছে বাংলা। এই ম্যাচে যেমন কাজী জুনেইদ সইফিকে খেলানো হয়। তাতেও অবশ্য ওপেনিংয়ের সমস্যা মেটেনি। বাংলার ওপেনিং জুটিতে উঠল মাত্র ১১ রান। ২৪ বল ক্রিজে থাকলেও ১ রানেই ফিরলেন কাজী। বাংলাকে এই মরসুমে অনেক ম্যাচেই খারাপ পরিস্থিতি থেকে টেনে তুলেছে অভিমন্যু ঈশ্বরণ-সুদীপ ঘরামি জুটি। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসেও তাই ঘটল। দ্বিতীয় উইকেটে শতরানের জুটি গড়লেন তারা। সুদীপ ফিরলেন ১০৯ বলে ৬৮ রানের অনবদ্য একটা ইনিংস খেলে। জুটি ভাঙতেই অভির ইনিংসও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ৭৭ রানে ফেরেন অভি। অনুষ্টুপ মজুমদার (২৫), অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিরা (১৩) ভালো শুরু করলেও বড় ইনিংস আসেনি। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ২৩৮-৫। ক্রিজে রয়েছেন শাহবাজ আহমেদ (১৭) এবং উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েল (২৫)।
বাংলা এগিয়ে ৬৫ রানে। তারপরও কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে খুব বেশি স্বস্তিতে দেখালো না। আসলে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে ভালোই বুঝতে পারছেন, ম্যাচের রং যে কোনও সময় বদলে যেতে পারে। দিনের খেলার শেষে লক্ষ্মী সেটাই জানালেন, ‘খেলাটার নাম ক্রিকেট। এখান থেকে যে কোনও কিছুই হতে পারে। ছেলেরা যে ভাবে খেলছে, ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে। পাঁচ দিনের ম্যাচ। এখনও অনেকটা রাস্তা বাকি।’ তবে প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ায় দলের জন্য খুশি কোচ। বলছেন, ‘প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারাটা আমাদের কাছে স্বস্তির। লক্ষ্য থাকবে তৃতীয় দিন যতটা বেশি সময় সম্ভব ব্য়া করা এবং লিড বাড়ানো। সুদীপ-অভিমন্য়ুর পার্টনারশিপটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে আমাদের লক্ষ্য আরও বড়।’