রঞ্জি ট্রফিতে কর্নাটকের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাকে। হয়তো এই ম্যাচে একটু ঝুঁকি নিলে ছয় পয়েন্টেরও সম্ভাবনা থাকত। কিন্তু তা অবশ্য দেখা যায়নি। টস জিতে বাংলাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কর্নাটক ক্যাপ্টেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। বাংলা সেই সুযোগটা ভালো ভাবেই কাজে লাগিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে ৩০১ রান করে বাংলা। জবাবে কর্নাটককে প্রথম ইনিংসে ২২১ রানেই অলআউট করে। প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ লিড নেওয়ায় অ্যাডভান্টেজ ছিল বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে অতিরিক্ত রক্ষণশীল হয়েই কি আরও পয়েন্টের সুযোগ হাতছাড়া?
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৮৩ রানে সমাপ্তি ঘোষণা করে বাংলা শিবির। অথচ লাঞ্চের আগে যদি আরও একটু দ্রুতগতিতে রান তোলা যেত, এমন একটা স্কোরে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানো যেত, হয়তো ফল অন্যরকম হতে পারত। কর্নাটককে যদি ওভার প্রতি সাড়ে তিনের বেশি টার্গেট দিয়ে দান ছাড়া যেত? সেটা যদিও হয়নি। লাঞ্চের পরও ৪৫ মিনিটের মতো ব্যাট করে বাংলা। এতে সুদীপ ঘরামির সেঞ্চুরি এবং ঋদ্ধিমান সাহার হাফসেঞ্চুরিও হয়। ঋদ্ধিমান ৯০ স্ট্রাইকরেটে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্য় দিকে সুদীপ ঘরামি ১০১ রানে অপরাজিত থাকলেও স্ট্রাইকরেট মাত্র ৫২.৩৩। এটাই যেন পার্থক্য হয়ে দাঁড়ায়।
কর্নাটকের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৬৪ রান। যদিও সে সময় ৫০ ওভারের বেশি খেলার মতো পরিস্থিতি ছিল না। লাইট পারমিট করবে না। তার আগে দু-দল হাত মিলিয়ে নেবে এমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়। শেষ অবধি সেটাই হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১১০ রান তোলে কর্নাটক। দু-দল হাত মিলিয়ে নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার ৬ পয়েন্টের জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ উইকেট। ৬৬ রানের মধ্যেই প্রতিপক্ষর তিন উইকেট ফেলে দেয় বাংলা। তিনটিই নেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। বাংলার পরবর্তী ম্যাচ মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে। এটিও অ্যাওয়ে ম্যাচ। এরপরই বিরতি। শুরু হয়ে যাবে সাদা বলের ক্রিকেট।