AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bengal Cricket: সামান্য বৃষ্টি, ভেস্তে গেল পুরো ম্যাচ! চূড়ান্ত হতাশ বাংলা টিমের কোচ-ক্যাপ্টেন কী বলছেন?

Ranji Trophy 2024-25: ম্যাচই তো হল না! এর দায় কার? কল্যাণীতে বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বিহারের বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল বাংলার। একটিও বল হয়নি। পরিত্যক্ত ম্যাচে বাংলা ও বিহার দু-দলের ঝুলিতেই এক পয়েন্ট করে। চূড়ান্ত হতাশ বাংলা শিবির।

Bengal Cricket: সামান্য বৃষ্টি, ভেস্তে গেল পুরো ম্যাচ! চূড়ান্ত হতাশ বাংলা টিমের কোচ-ক্যাপ্টেন কী বলছেন?
Image Credit: OWN Arrangement
| Updated on: Oct 21, 2024 | 5:44 PM
Share

সামনেই অস্ট্রেলিয়া সফর। দলীপ ট্রফি হোক বা ইরানি কাপ, দুরন্ত ছন্দে অভিমন্যু ঈশ্বরণ। রঞ্জি ট্রফি অভিযানে প্রথম ম্যাচেও উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি। অস্ট্রেলিয়ায় এ-দলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা অভিমন্যুর। শুধু তাই নয়, টেস্ট টিমেও থাকার সম্ভাবনা। এর জন্য ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি। যেটা তিনি করে চলেছিলেন। ঘরের মাঠেও একই লক্ষ্য ছিল। কিন্তু ম্যাচই তো হল না! এর দায় কার? কল্যাণীতে বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বিহারের বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল বাংলার। একটিও বল হয়নি। পরিত্যক্ত ম্যাচে বাংলা ও বিহার দু-দলের ঝুলিতেই এক পয়েন্ট করে। চূড়ান্ত হতাশ বাংলা শিবির।

প্রতিটা টিমেরই নজর থাকে হোম ম্যাচ থেকে যত বেশি সম্ভব পয়েন্ট নেওয়া। অ্যাওয়ে ম্যাচে একটা বাড়তি চাপ থাকে। রঞ্জি মরসুমে বাংলা অভিযান শুরু করেছিল অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়েই। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেললেও ৩ পয়েন্টই এসেছে। দ্বিতীয় ম্যাচ ঘরের মাঠে। খাতায় কলমে অনেকটাই দুর্বল বিহারের বিরুদ্ধে ৬ পয়েন্ট প্রত্যাশা ছিল। এমনকি বোনাস সহ সাত পয়েন্টও অসম্ভব ছিল না। কিন্তু ম্যাচের প্রথম দিনের সামান্য বৃষ্টি যে ১ পয়েন্টেই আটকে রাখবে বাংলাকে, কেই বা জানতো! প্রথম দিন দূর-অস্ত, বাকি তিনদিনেও মাঠ রেডি করা গেল না। রোজ মাঠে এসে, পরিদর্শন করে ফিরে যাওয়া, খেলতে না পারা এবং ঘরের মাঠে না খেলে মাত্র ১ পয়েন্ট। হতাশ বাংলার কোচ ও ক্যাপ্টেন।

বাংলা শিবির কতটা বিধ্বস্ত, তাঁদের শরীরীভাষাতেই তা পরিষ্কার ছিল। অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার কল্যাণীতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অত্যন্ত হতাশ। নিশ্চিতভাবেই এই ম্যাচের ফল কোথাও গিয়ে নকআউটের জায়গা অর্জনের অঙ্কে প্রভাব ফেলবে। এই ম্যাচ না হওয়া আমাদের কাছে বড় ধাক্কা। ম্যাচের সময় একটা দিনও বৃষ্টি হল না। অথচ চার দিন ধরেই খেলা হল না। অতীতে এমন ঘটনার কথা মনে পড়ছে না।’

কোচ তথা বাংলার কিংবদন্তি ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, ‘পরে গিয়ে নকআউটের অঙ্ক কী হবে, সে সব পরের কথা। তবে ম্যাচটা হল না, এর থেকে বড় হতাশা আর কিছু নেই।’ এর দায় সত্যিই কার? বাংলা ক্রিকেট সংস্থা, মাঠকর্মী নাকি পরিকাঠামো! যাই হোক না কেন, এখন থেকেই যেন নকআউটের দৌড়ে ব্যাকফুটে চলে গেল বাংলা টিম। বাংলার পরের ম্যাচ শক্তিশালী কেরলের বিরুদ্ধে। হোম ম্যাচ হলেও কেরলের বিরুদ্ধে কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হবে।