রঞ্জি অভিযানে শুরুতেই লক্ষ্য ছিল ছয় পয়েন্ট। এর জন্য ঝুঁকিও নিয়েছিল বাংলা। যদিও লক্ষ্যপূরণ হল না। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংস লিডের সুবাদে তিন পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। বাংলা ও ছয় পয়েন্টের মাঝে কুম্ভ হয়ে দাঁড়ালেন প্রিয়ম গর্গ। অতীতে ভারতের অনূর্ব্ধ ১৯ জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রিয়ম। খেলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছিলেন প্রিয়ম। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর সেঞ্চুরিই সরাসরি হার বাঁচাল উত্তরপ্রদেশের।
প্রথম ইনিংসে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের সেঞ্চুরি ও সুদীপ ঘরামির ৯০ রানের পরও বাংলা মাত্র ৩১১ রানেই আটকে গিয়েছিল। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে ভরসা দিয়েছিলেন শাহবাজ আহমেদ। বল হাতেও ভরসা দেন। উত্তরপ্রদেশকে ২৯২ রানে অলআউট করে প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ লিড নেয় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাকে ব্যাট হাতে ভরসা দেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও অভিমন্যু ঈশ্বরণ। বাংলায় প্রত্যাবর্তনে দু-ইনিংসেই সেঞ্চুরি হতে পারত সুদীপের।
তৃতীয় দিনের শেষে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৪২ রান যোগ করেছিলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও অভিমন্যু ঈশ্বরণ। শেষ অবধি দলীয় ২১২ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে। সুদীপ ৯৩ রানে ফেরেন। অভিমন্যুর অপরাজিত ১২৭ রান। ২৫৪/৩ স্কোরে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে বাংলা। উত্তরপ্রদেশের সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭৪ রান। বাংলার ১০ উইকেট। দুই ওপেনারকে দ্রুতই ফেরান বাংলার দুই পেসার মুকেশ কুমার ও মহম্মদ কাইফ।
প্রিয়ম গর্গ তিনে নেমে ক্রিজে পড়ে থাকেন। শেষ অবধি ১৬২/৬ স্কোরে দুই অধিনায়ক হাত মিলিয়ে নেন। প্রিয়ম গর্গ একাই ১০৫ রানে অপরাজিত। প্রিয়মের উইকেট নিতে পারলে বাংলা হয়তো অলআউট ঝাঁপাতে পারত। তা আর হয়নি। তবে অ্যাওয়ে ম্যাচে তিন পয়েন্ট দিয়ে অভিযান শুরু, মন্দ নয়। সেঞ্চুরি ও ৯৩ রানের ইনিংস। বাংলার হয়ে প্রত্যাবর্তন ম্যাচেই সেরা সুদীপ চট্টোপাধ্যায়।