রঞ্জি ট্রফি অভিযানে শুরুতেই ধাক্কা খেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই। অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বাধীন মুম্বই শেষ দিন ২২০ রান তুলতে ব্যর্থ। বরোদার কাছে ৮৪ রানে হার। সৌজন্যে বাঁ হাতি স্পিনার ভার্গব ভাটের অনবদ্য পারফরম্যান্স। প্রথম ইনিংসে চার উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে আধডজন উইকেট ভার্গবের ঝুলিতে। সরফরাজ খান, মুশির খানের না থাকা যে বড় সমস্যার, তা যেন মুম্বইয়ের প্রথম ম্যাচেই প্রমাণ হয়ে গেল।
সরফরাজ খান টেস্ট স্কোয়াডে রয়েছেন। ইরানি কাপের আগে গুরুতর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন মুশির খান। সে কারণেই এই দু-জনকে পাচ্ছে না মুম্বই। তেমনই বাকিদের কাছে এটা দারুণ সুযোগও। চাপের মুহূর্তে ভালো ইনিংস খেলতে পারলে দলে জায়গা পাকা করার সুযোগ থাকত। সেটাই দেখা গেল না। বরোদার পিচে বাঁ হাতি স্পিনারকে ভার্গবকে সামলাতে ব্যর্থ মুম্বই ব্যাটাররা।
প্রথম ইনিংসে বরোদাকে ২৯০ রানে অলআউট করে মুম্বই। জবাবে মুম্বই শেষ মাত্র ২১৪ রানে। প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ লিড নিয়ে অ্যাডভান্টেজে ছিল বরোদা। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের মাত্র ১৮৫ রানেই শেষ করে ম্যাচে ফিরেছিল মুম্বই। চতুর্থ ইনিংসে প্রয়োজন ছিল ২৬২ রান। ম্যাচের শেষ দিন হাতে ৮ উইকেট নিয়ে প্রয়োজন ছিল আরও ২২০ রান। ক্রিজে রাহানে থাকায় ভরসা ছিল মুম্বইয়ের।
চতুর্থ দিনের শুরুতেই অবশ্য রাহানের উইকেট হারায় মুম্বই। চাপ বাড়তে থাকে সেখান থেকেই। শ্রেয়স আইয়ার প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর করেন ৩৭ বলে ৩০। হাফসেঞ্চুরি সিদ্ধেশ লাডের। জয়ের জন্য যা যথেষ্ট ছিল না। ১৭৭ রানেই অলআউট মুম্বই। সব মিলিয়ে ৬৬ বারের সাক্ষাতে এই নিয়ে মুম্বইকে মাত্র চতুর্থ বার হারাল বরোদা।