বেঙ্গালুরু : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আজ লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে নামছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এখনও অবধি এ মরসুমে আটটি ম্যাচ খেলেছে রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স। হার ও জিত ৪টি করে। বেশ কিছু ক্লোজ ম্যাচও হেরেছে আরসিবি। তাদের মূল সমস্য়া মিডল ও লোয়ার অর্ডার ব্য়াটিং। টপ থ্রি, অর্থাৎ ফাফ ডুপ্লেসি, বিরাট কোহলি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আউট হলে হাল ধরার কেউ নেই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে গত ম্য়াচে ঘরের মাঠে জেতার সুযোগ ছিল আরিসিবির। কিন্তু মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্য়র্থতায় পারেনি। গত মরসুমে দীনেশ কার্তিক ফিনিশারের ভূমিকায় অনবদ্য ছিলেন। এ বছর নজর কাড়তে ব্যর্থ কার্তিক। যার জন্য পোড় খাওয়া ব্য়াটার কেদার যাদবে সই করাল রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইংল্য়ান্ডের বাঁ হাতি পেসার ডেভিড উইলির জায়গায় কেদার যাদবকে নিল রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। অতীতেও এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন কেদার। যদিও দীর্ঘ সময় খবরে ছিলেন না তিনি। ২০১০ সালে আইপিএল অভিষেক হয় কেদার যাদবের। ৯৩ ম্য়াচে করেছেন ১১৯৬ রান। আরিসিবির হয়ে খেলেছেন ১৭টি ম্য়াচ। ব্য়াটিংয়ের পাশাপাশি তাঁর স্লিং অ্যাকশন বোলিংও কার্যকরী ভূমিকা নেয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক, কেদার যাদবের ফিল্ডিং। ফ্র্য়াঞ্চাইজি ক্রিকেট হোক কিংবা আন্তর্জাতিক, অন্য়তম সেরা ফিল্ডার কেদার যাদব। গত ম্য়াচে কেকেআরের কাছে হারের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিরাট কোহলি। ব্য়াটিং ব্য়র্থতার পাশাপাশি তাঁদের ডুবিয়েছিল জোড়া ক্য়াচ মিস। কেদারের অন্তর্ভূক্তি সেই দুর্বলতা কিছুটা হলেও ঢেকে দেবে।
এ বারের মরসুমে রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের টপ থ্রি বিধ্বংসী ফর্মে রয়েছেন। আরসিবির এ বারের ৮০ শতাংশ রানই এসেছে বিরাট, ডুপ্লেসি এবং ম্যাক্সওয়েলের সৌজন্যে। প্রতি ম্য়াচেই টপ থ্রি সাফল্য পাবে, তা নয়। কেদার যাদবকে ফিনিশারের ভূমিকায় কাজে লাগাতে চায় আরসিবি। এখন দেখার, তিনি কতটা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন।