মুম্বই: ঝড়ের গতিতে রান তাড়া করে জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সৌজন্যে অলরাউন্ডার সোফি ডিভাইন। তাঁর অনবদ্য ইনিংসে ডব্লিউপিএলে দ্বিতীয় জয় পেল আরসিবির। প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ১৮৮ রান তুলেছিল গুজরাট জায়ান্টস। টি-২০ ম্যাচে যথেষ্ট কঠিন টার্গেট। কিন্তু সোফির ব্যাটে ব্যাঙ্গালোর সেই কঠিন লক্ষ্য পার করে ফেলল চোখের নিমেষে। প্রথম বল থেকেই মারমুখী মেজাজে দেখা গিয়েছে সোফিকে। এই মেজাজ বজায় রইল আউট না হওয়া পর্যন্ত। মাত্র ২০ বলে অর্ধশতরান করেন সোফি। শতরানের দিকে তরতরিয়ে এগোচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ৯৯ রানে থামতে হয়েছে তাঁকে। শতরান না এলেও আরসিবিকে জয়ের জন্য যাবতীয় রসদ জুগিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। বাকি কাজটা শেষ করলেন এলিস পেরি, হেদার নাইটরা। আট উইকেটে ম্যাচ জিতল আরসিবি। ম্যাচের বিস্তারিত TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ১৮৮ রান তোলে গুজরাট জায়ান্টস। প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে অতিমানবীয় ইনিংস খেলতেই হত। এটা মাথায় রেখেই রান তাড়া করতে নেমেছিলেন অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা এবং সোফি ডিভাইন। চ্যালেঞ্জিং রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই মারমুখী মেজাজে দেখা গিয়েছে সোফি ডিভাইনকে। বল হাতে ২৩ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে আরসিবিকে জেতানোর পাশাপাশি আর একটু হলেই মেয়েদের টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছিলেন। কিম গার্থের বলে বড় শট হাঁকিয়ে শতরান পূর্ণ করার ইচ্ছে ছিল তাঁর। তাতেই আটকে গেলেন সোফি। গোটা স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিয়ে ৯৯ রানে ব্যাট করা সোফির ক্যাচ ধরেন অশ্বিনি কুমারী। ডিভাইনের ইনিংসে ৯টি চার ও ৮টি ছয়। অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানার ৩১ বলে ৩৭ রান।
গুজরাটের হয়ে লরা উলফার্ট ৪২ বলে ৬৮ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন। সাব্বিনেনি মেঘনার ৩২ বলে ৩১ রান, অ্যাশলে গার্ডনারের ৪১ রানের ইনিংস ১৮৮ রান তোলে গুজরাট। কিন্তু সোফির ব্যাটে সেই রানও অক্ষত রইল না। বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে প্লে অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল আরসিবি।