মুম্বই : নজর ছিল দুই অধিনায়কের পারফরম্য়ান্সে। একজন হতাশ করলেন, আর এক জন রানে ফিরলেন। হারের হ্য়াটট্রিকের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের। একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তনও করেন। নজর ছিল অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানার ফর্মে ফেরার দিকেও। কোনও লক্ষ্যই পূরণ হল না। টুর্নামেন্টে টানা চার ম্যাচে হার আরসিবির। সোফি এক্লেস্টন-দীপ্তি শর্মার অনবদ্য বোলিং, অধিনায়ক অ্যালিসা হিলির বিধ্বংসী ইনিংস। জয়ে ফিরল ইউপি ওয়ারিয়র্স। আরসিবি শিবিরে হতাশা আরও বাড়ল। তারকা সমৃদ্ধ দল গড়েও কোনও পরিকল্পনাই খাটছে না। ইউপি ওয়ারিয়র্স জিতল ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম ইউপি ওয়ারিয়র্স ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
টসে জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক স্মৃতি। স্পিনের বিরুদ্ধে তাঁর অস্বস্তি কাটল না। এ দিনও স্পিনার রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়ের বলে মাত্র ৪ রানে ফিরলেন স্মৃতি। দ্বিতীয় উইকেটে অনবদ্য জুটি গড়েন সোফি ডিভাইন ও এলিস পেরি। ৩১ বলে ৪৪ রান যোগ করে এই জুটি। সোফি ডিভাইন ২৪ বলে ৩৬ রানে ফেরেন। উল্টোদিক থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় আরসিবি। এলিস পেরি অর্ধশতরান করেন। ৩৯ বলে ৫২ রান করেন তিনি। যদিও মিডল ও লোয়ার অর্ডারে কোনও বড় জুটি হয়নি। সোফি এক্লেস্টন ৩.৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১৩৮ রানেই অলআউট রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স।
ইউপি ওয়ারিয়র্স যেমন একাদশে পরিবর্তন করেছিল, তেমনই ওপেনিং জুটিতেও। অ্যালিসা হিলির সঙ্গে গত দুই ম্য়াচে ওপেন করেছিলেন শ্বেতা শেরাওয়াত। এই ম্যাচে দেবিকা বৈদ্যকে নিয়ে নামেন অ্যালিসা। তাঁর ফর্ম নিয়েও আলোচনা হচ্ছিল। অবশেষে ফর্মে ফিরলেন। পাওয়ার প্লে-তেই এই জুটি দলের স্কোর ৫৫ করে। দেবিকা বৈদ্য ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন। অ্যালিসা হিলি স্বভাবসিদ্ধ খেলায় মন দেন। দেবিকা বৈদ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রিকেটে ওপেন করেছেন। এ দিন অধিনায়কের সঙ্গে পরিণত ইনিংস খেলেন। শেষ অবধি এই জুটিই ম্য়াচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়ে। অল্পের জন্য শতরান হল না অ্যালিসা হিলির। ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। দেবিকা বৈদ্য করেন অপরাজিত ৩৬ রান।