
বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। তবে আপাতত সচিনকে নিয়ে আলোচনা অন্য কারণ। সচিনপুত্র অর্জুনের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে, এমনটাই খবর। গত কালই এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই বাগদান পর্ব হয়। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে অর্জুন তেন্ডুলকরকে নিয়ে নানা আলোচনা। এর মাঝেই মজার কাহিনি উঠে এসেছে। যখন এয়ারহোস্টেসের কাছে অর্জুনকে নিয়ে নালিশ করেছিলেন! এমনটাও হতে পারে? যে কাহিনি উঠে এসেছে তা ২০১০ সাল নাগাদের। আর সে সময় সচিন পুত্র কিন্তু তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। বরং, সে সময় তরুণ ক্রিকেটার সুরেশ রায়নাকে অর্জুন ভেবে ভুল করেছিলেন এয়ারহোস্টেস। সচিনও তা শুধরে দেননি। বরং, আরও বেশি মজা করে নালিশও করেন!
ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট-রোহিত-ধোনিদের আগের জেনারেশনের প্রসঙ্গ উঠলে সচিনের পাশাপাশি আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসবে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, যুবরাজ সিং, বীরেন্দ্র সেওয়াগ, জাহির খান। আর ২০০৬ নাগাদ ভারতীয় দলে প্রবেশ সুরেশ রায়নার। যদিও বাকিদের তুলনায় উচ্চতার দিক থেকে কম। মুখটাও বাচ্চা বাচ্চা। আর তা নিয়েই মজা হয়। ২০০৬ থেকে সচিনের শেষ ম্যাচ অবধি সতীর্থ ছিলেন সুরেশ রায়না। ভারতীয় দলের হয়ে বেশ কিছু স্মরণীয় ম্যাচ খেলেছেন। রায়না একটি মজার ঘটনাও তুলে ধরেছেন।
ম্যাচ খেলতে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাচ্ছিল ভারতীয় দল। সচিন-রায়নাও ছিলেন। রায়নার কথায়, “আমরা একসঙ্গে যাচ্ছিলাম ফ্লাইটে। একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে। সচিন পাজির পাশেই বসেছিলাম। এয়ারহোস্টেস আসেন, সচিন পাজিকে বলেন, ‘গুড মর্নিং সচিন স্যর। আপনি কেমন আছেন?’ আমাকে দেখে অর্জুন ভেবেছিলেন এয়ারহোস্টেস। অর্জুনকে কিছু একটা বলেন সেই এয়ারহোস্টেস। সচিন পাজি মজা করার একটা সুযোগ খুঁজে পেয়ে হাতছাড়া করেননি। এয়ারহোস্টেসকে বলেন, ‘হ্যাঁ, ও একদম পড়াশোনা করে না। কী করা যায় বলুন তো? আমি তো অঞ্জলিকেও (তেন্ডুলকর) বলেছি। আসলে আমাকে অর্জুন ভেবে কথা বলেছিলেন এয়ারহোস্টেস।”
রায়না যে ঘটনার কথা বলেছেন, অনুমান করা হচ্ছে তা ২০১০ সাল নাগাদ ঘটেছিল। সে বছরই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সুরেশ রায়নার। সেই ঘটনায় সচিন এরপর কী করেছিলেন, তাও তুলে ধরেন রায়না। “পরে অন্য যে প্লেয়াররা ছিলেন সেখানে যাই। সচিনকে পাজিকে বলি, ‘আমাকে কেন বিজনেস ক্লাসে বসালে, আর আমাকে অর্জুন তেন্ডুলকরও বানিয়ে দিলে!’ সচিন পাজি তারপর এয়ারহোস্টেসকে গিয়ে বলেন, ‘ও ভারতীয় দলেরই সদস্য। ওর নাম সুরেশ রায়না, আমার ছেলে অর্জুন নয়।’ সচিন পাজি সুযোগ পেলে এমন মজা করতে পছন্দ করতেন।”