মুম্বই : কেমন একটা ঘোরের মধ্যে ছিল ওয়াংখেড়ে গ্য়ালারি। অনেকেরই চোখে জল। সাদা জার্সিতে কিছুটা এগিয়ে গেলেন বাইশ গজের দিকে। মাথা নত করলেন। এই বাইশ গজই তাঁকে জীবনের সব দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ ম্যাচ খেলার পর এ ভাবেই সম্মান জানিয়েছিলেন বাইশগজকে। এখনও সচিন তেন্ডুলকরের হাতে ব্য়াট থাকলে, শ্যাডো করতে দেখা যায়। নিজেও কিছু ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। ঘরের ভেতরেই হয়তো ক্রিকেটে মেতে। এমন ভিডিয়ো দেখেও অনেকটা প্রত্যাশা মেটে ক্রিকেট প্রেমীদের। ক্রিকেটের ভগবানের জন্মদিন ২৪ এপ্রিল। এ বারের জন্মদিন স্পেশাল। বাইশগজের বাইরে হাফসেঞ্চুরি হতে চলেছে মাস্টারব্লাস্টারের। তাঁর সেরা উপহার কী হতে পারে? হয়তো পেয়ে গিয়েছেন! পুত্র অর্জুন তেন্ডুলকরের আইপিএল অভিষেক হয়েছে কয়েক দিন আগেই। আইপিএলে প্রথম উইকেটও নিয়েছেন অর্জুন। আচ্ছা, সচিনের ঝুলিতে ঠিক কত গল্প থাকতে পারে! অজানা। অন্তহীন। ঝাঁপি থেকে কিছুটা বেরলো। ৫০ তম জন্মদিনের আগে ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে বিশেষ আড্ডায় উঠে এল নানা কথা। পুরনো সেই দিনের কথা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
গ্য়ালারিতে ‘সচিন…সচিন…’ ধ্বনি আজও অমলীন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। যে মাঠেই খেলা থাক, জায়ান্ট স্ক্রিনে তাঁকে এক ঝলক দেখালেই গ্যালারির মেজাজ পাল্টে যায়। সচিন শুধু একটা নাম নয়, কয়েক প্রজন্মের স্বপ্ন। যার ভিত তৈরি হয়েছিল অনেক আগেই। নতুন প্রজন্মকে সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য় তাঁর বিকল্প কেই বা হতে পারেন! সচিনের এই সোনালী সফরে সঙ্গী ছিল সংবাদমাধ্যমও। তাই সাংবাদমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভোলেননি। বলছেন, ‘যে কোনও অ্যাথলিটের কাছেই স্বীকৃতি একটা বড় বিষয়। কোনও কাজের যদি স্বীকৃতি না পাওয়া যায়, তাহলে ধরে নিতে হবে, সেই কাজের পরিবেশ সঠিক নয়। স্বীকৃতি পেলে প্রতিটা অ্যাথলিটই নিজেকে আরও ভালো ভাবে মেলে ধরতে পারবে।’
এরপরই ক্রীড়া সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতায় বলেন, ‘আপনারা যে ভাবে আমাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, আরও বেশি পরিশ্রমের রসদ পেয়েছি। এমন অনেক সময়ই গেছে, আমি হোঁচট খেয়েছি। প্রবল ভাবে ভেঙে পড়েছি, তবে এই খেলা আমাকে উঠে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। আর সেই উঠে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আপনারাই সহযোগিতা করেছেন। গাড়িতে তেল না থাকলে তা চলে আনা। আপনারা আমাকে সেটাই যোগান দিয়েছেন। আমার কেরিয়ারে আপনাদের একটা বড় ভূমিকা নিয়েছেন।’
ক্রিকেট আইকন আরও যোগ করলেন খেলোয়াড়দের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা। সচিনের কথায়, ‘আমার প্রথম সাক্ষাৎকার থেকে শেষটা, দুর্দান্ত অনুভূতি। এত বছরের মাঝে আমাদের বন্ধুত্ব অটুঁট। একটা সময় সম্পর্কটা শুধুই ক্রিকেটার-সাংবাদিকের ছিল। হয়তো আপনারা শুধু আমার মন্তব্য জানতে চাইতেন। এরপর ব্যক্তি সচিনের সঙ্গে মেলামেশা শুরু হল।’
সচিন আরও যোগ করেন, ‘তবে আমার সম্পর্কে ভালো-খারাপ কী লেখা হত, নিয়মিত সেগুলো পড়তাম না। নিজের মতো থাকতে চাইতাম। অনেকেই জানতেন, তাঁর লেখা হয়তো আমি পড়ছি না, তাতেও কিন্তু সম্পর্কটা একই থেকেছে।’