
ঢাকা: ভারতের মাটিতে চলা আইপিএলের ১৬তম (IPL) সংস্করণ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। যার জন্য সাকিব আল হাসান (Shakib al Hasan) জাতীয় টিমের খেলা ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন। বর্তমানে সাকিব বাংলাদেশেই রয়েছেন। আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি মাত্র টেস্ট ম্যাচে খেলছেন তিনি। মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল সকালে ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন (Bangabazar fire) লাগে। তাতে প্রায় ৫ হাজার দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরবর্তীতে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে অনেক ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছেন। আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে বঙ্গবাজার মার্কেটের একাধিক দোকান। বাংলাদেশের টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। অনুদান হিসেবে তিনি দিয়েছেন বাংলাদেশী মুদ্রায় ২০ হাজার টাকা। সাকিবের যা সম্পত্তির পরিমাণ তাতে তাঁর এই অনুদানের অর্থ নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
ফেসবুকে বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা জানান। একইসঙ্গে বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ইফতারের জন্য সাহায্য করতে দেশবাসীদের এগিয়ে আসার কথা বলেন। পাশাপাশি জাতীয় দলে তাঁর সতীর্থ তাসকিন আহমেদকেও এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন সাকিব। তাঁর ফেসবুক পোস্টটি ছিল নিম্নরূপ,
‘আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে রমজানুল মোবারক!
আমি নিশ্চিত এখন পর্যন্ত আপনারা সবাই বঙ্গবাজার মার্কেটের মর্মান্তিক ঘটনার কথা শুনেছেন, এই অগ্নিকাণ্ডে সবাই তাদের ব্যবসা ও আয়ের মাধ্যম হারিয়েছে। রমজান মাসে এটি এখন খুব কঠিন সময় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাই আমি, আমার SAH FOUNDATION-এর মাধ্যমে আগামীকালের ক্ষতিগ্রস্থদের ইফতারের জন্য ২০,০০০ টাকা অনুদান প্রদান করব। এই ইফতারের আয়োজনটি সমন্বয় করবে মাস্তুল ফাউন্ডেশন।
পরবর্তী ইফতারের জন্য আমি তাসকিন আহমেদকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করার জন্য মনোনয়ন করতে চাই।
এই মর্মান্তিক ভয়ানক পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ সকল ভাই ও বোনদের সাহায্য করার জন্য নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসতে পারি। আসুন এখন একে অপরের পাশে দাঁড়াই। এই রমজান মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর রহমত ও বরকতে আমাদের এই ক্ষতি পূরণ করার তৌফিক দান করুন।’
সাকিবের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৩০ কোটি টাকার মতো। আর বাংলাদেশী টাকায় যা দাঁড়ায় ৪২২ কোটির মতো। ২০২২ সালে সাকিবের আয় ছিল ৩৬ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তি তো রয়েছেই, সঙ্গে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, পাকিস্তান সুপার লিগ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন সাকিব। পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্টও। সাকিব এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়ার পরও সাকিব মাত্র ২০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন বলে প্রশ্নও উঠছে।