করাচি : রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসকে নিয়ে গোপন তথ্য ফাঁস করলেন পাকিস্তানের আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি। প্রাক্তন সতীর্থ সম্পর্কে অনেক কিছুই প্রকাশ্য়ে আনলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। বিশ্ব ক্রিকেটে পাকিস্তানি পেসার মূলত পরিচিত তাঁর দ্রুত গতির জন্য়ই। যে কোনও ব্য়াটসম্য়ানের হাড়-হিম হয়ে যেত। যে কোনও পিচেই চিন মিউজিক শোনাতে পারতেন শোয়েব। পাঁজর লক্ষ্য় করে ধেয়ে আসা এক্সপ্রেস গতির ডেলিভারি সমস্য়ায় ফেলত বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্য়াটারদের। নিয়মিত চোটও পেতেন। পেসারদের ক্ষেত্রে এমনটা নতুন নয়। বিশেষত তাঁর বোলিং রান আপ, অ্যাকশন, জাম্প, টোট পাওয়াটাই যেন প্রত্যাশিত ছিল। তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ তথা পাকিস্তানের আর এক কিংবদন্তি শাহিদ আফ্রিদি জানালেন, খেলোয়াড় জীবনে প্রচুর ইঞ্জেকশন নিতেন শোয়েব আখতার। তাহলে কি সেটাই তাঁর গতির রহস্য? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। যদিও ট্রফি জিততে ব্য়র্থ। জস বাটলারের নেতৃত্বাধীন ইংল্য়ান্ডের কাছে ফাইনালে হারে পাকিস্তান। চোটের কারণে কোটার পুরো ওভার বোলিং করেননি বাঁ হাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ইংল্য়ান্ড ব্য়াটার হ্য়ারি ব্রুকের ক্য়াচ নিতে গিয়ে হাঁটুতে গুরুতর চোট পান শাহিন। সে কারণেই ২.১ ওভারের বেশি বোলিং করতে পারেননি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার বলছেন, ‘আমি যদি পড়ে যেতাম, হাঁটুতে গুরুতর চোট পেতাম, উঠে দাঁড়াতাম, সেই পরিস্থিতিতে ব্য়াথা উপসমের ইঞ্জেকশন নিয়েও বোলিং করতাম। এরকম পরিস্থিতিতে অনেকের কাছেই শুনতে হয়েছে, এতে চোট আরও বাড়বে, মৃত্য়ুও হতে পারে। তাদের আমি জবাব দিতাম, প্রয়োজনে প্রাণ দেব। কেন না, বিশ্বকাপ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্ত বার বার ফিরে আসবে না।’
শোয়েব আখতারের এমন মন্তব্য়ের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা মন্তব্য় শাহিদ আফ্রিদির। তাঁর ছোট মেয়ের জামাই শাহিন আফ্রিদি। তাঁর সম্পর্কে কোনও কথায় মন্তব্য় না করে থাকেনই বা কী করে! শাহিদ আফ্রিদি বলেন, ‘শোয়েব আখতার জীবনে এত ইঞ্জেকশন নিয়েছে যে, এখন ও হাঁটতেই পারে না। এর জন্য়ই ও ক্লাস বোলার। তবে শোয়েব আখতার, শোয়েব আখতারই। ও অনেক কিছুই করতে পারে। তবে বিষয়টা হল, সকলে শোয়েব আখতার নয়। চোট নিয়ে খেলা খুবই কঠিন। ইঞ্জেকশন, ব্যাথা উপসমের ওষুধ নিয়ে খেলা সবক্ষেত্রে উপযুক্ত নয় বলেই মনে করি। এতে চোট আরও গুরুতর হতে পারে। যাই হোক, শোয়েবকে ওর মতো থাকতে দেওয়া হোক।’