নয়াদিল্লি: ‘বিরাট কোহলি আমার কাছে ভগবান’… কথাগুলো বলার সময় শ্রেয়াঙ্কা পাটিলের চোখ মুখ উজ্জ্বল ছিল। তাঁর কথাই বলে দিচ্ছিল তিনি কত বড় কোহলি ভক্ত। অনেকে তাঁকে আবার ভারতীয় ক্রিকেটের ‘লেডি বিরাট’-ও বলা শুরু করেছেন। ইমার্জিং এশিয়া কাপে সদ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত (India)। এই টুর্নামেন্টে নজর কেড়েছেন ভারতের উঠতি অলরাউন্ডার শ্রেয়াঙ্কা পাটিল (Shreyanka Patil)। যিনি আবার আরসিবি গার্ল নামেও পরিচিত। এই শ্রেয়াঙ্কা প্রথম বার বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সঙ্গে যখন দেখা করেছিলেন, তখন কী হয়েছিল জানেন? বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
ESPNcricinfo-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রেয়াঙ্কা জানান কোহলির সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হওয়ার মুহূর্ত কেমন ছিল। তিনি বলেন, ‘প্রথম বার বিরাট কোহলির সঙ্গে দেখা করার সময়টা আমার কাছে ‘ফ্যান গার্ল’ মোমেন্ট ছিল। আমার কাছে বিরাট কোহলি ভগবান। তাঁর বর্ণনা করার জন্য আমার কাছে কোনও শব্দ নেই। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে বিরাট কোহলির সঙ্গে দেখা করার স্বপ্নপূরণ হয়েছে আমার। ওই অনুভূতিটা বলে বোঝানোর মতো নয়। আমার জন্য ওর সঙ্গে দেখা করার মুহূর্তটা আজীবন ভীষণ স্পেশাল হয়ে থাকবে। এত সামনে থেকে তাঁকে দেখতে পাব, কথা বলতে পারব, সেটা ভাবিনি। কোহলির সঙ্গে কথা বলার পর একটা আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলাম। উদ্বোধনী ডব্লিউপিএলে তিনি আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।’
উদ্বোধনী ডব্লিউপিএলের নিলামে শ্রেয়াঙ্কাকে কিনে নেয় বিরাট কোহলির আরসিবি। আইডল বিরাট যে দলের হয়ে আইপিএলে খেলেন, সেই টিমের হয়ে ডব্লিউপিএলে সুযোগ পাওয়ার দিনের অনুভূতি নিয়ে শ্রেয়াঙ্কা বলেন, ‘নিলাম শুরু হওয়ার পর আমি দল পাওয়ার আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। শুধুই মনে হচ্ছিল অনেক বড় বড় ক্রিকেটার দল পাচ্ছে না। সেখানে আমি কি আদৌ দল পাব? এই সব ভাবতে ভাবতেই আমার নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর আরসিবি আমার জন্য বিড করে। তখন মনের মধ্যে যা চলছিল আমি বলে বোঝাতে পারব না। আরসিবি দলে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি বলার মতো ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। ওই পরিস্থিতে আমি খানিকের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর সেলিব্রেট করা শুরু করেছিলাম।’
উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের সময় দর্শকরা শ্রেয়াঙ্কার নাম ধরে ডাকাডাকি করত। যা শুনে শুরুর দিকে বেশ অবাক হতেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘২-৩টে ম্যাচের পর দর্শকরা যখন নাম ধরে চিয়ার করত দারুণ লাগত। পেরি, স্মৃতিরা লেজেন্ড। ওদের দেখতাম কী ভাবে ওরা দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়ত। সেটা দেখে আমিও ধীরে ধীরে আমার নাম ধরে দর্শকরা ডাকার সময় হাত নাড়িয়েছিলাম। একটা আলাদাই অনুভূতি হয়েছিল।’