Shubman Gill: ‘প্রথম থেকে শেষ বল অবধি টেনশনে ছিলাম’, জানালেন নার্ভাস গিল
India vs England: ভারতের তরুণ ক্রিকেটার শুভমন গিল জানান, তিনি মনে করেন দলে এই মুহূর্তে যে নতুন ক্রিকেটাররা রয়েছেন প্রত্যেকেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি করা যশস্বীর প্রশংসা করে শুভমন বলেন, 'যশস্বী ভীষণ ক্যালকুলেটেড। ও জানে কোন সময় ঝুঁকি নেওয়া যায়। ও জানে কখন কোন বোলারের উপর চাপ দেওয়া প্রয়োজন।

কলকাতা: হঠাৎ করেই ছন্দপতন হলে মনটা কেমন করে ক্রিকেটারদের? অনেক ক্রিকেট প্রেমী এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। গত কয়েকটা ম্যাচে ভারতের তরুণ ক্রিকেটার শুভমন গিল (Shubman Gill) ওপেনিংয়ের জায়গায় তিনে নামছেন। তাতে অবশ্য শুভমন খুব একটা সফল হচ্ছিলেন না। যে কারণে তাঁর নিজের চিন্তাও বাড়ছিল। এ বার শুভমন গিল জানালেন, ভাইজ্যাগে তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার আগে কতটা নার্ভাস ছিলেন। তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে এই প্রথম বার শতরান করেছেন শুভমন। কিন্তু প্রথম বল থেকে শেষ বল অবধি তাঁর হৃদস্পন্দন ছিল এক্কেবারে অন্যরকম।
আঙুলে চোটের কারণে ইঞ্জেকশন নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন শুভমন গিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামার আগে থেকেই বিরাট টেনশনে ছিলেন শুভমন। বিশাখাপত্তনম টেস্টের শেষে শুভমন বলেন, ‘সত্যি বলতে কী আমি দ্বিতীয় ইনিংসে নামার আগে ভীষণ নার্ভাস ছিলাম। যদি এক লাইনে আমাকে এই নিয়ে বলতে হয়, তা হলে বলব প্রথম বল থেকে শেষ বল অবধি আমার হৃদস্পন্দন একইরকম ছিল। খুব টেনশনে ছিলাম। এমনটা আগে কখনও অনুভব করিনি।’
শুভমনের কথায়, ‘গত কয়েকটা ম্যাচে রান করতে পারিনি। তার একটা চাপ ছিলই। এমনটা নয় শুধু যে বাইরেই সকলে সেই চাপটা নিয়ে বলছিল, আমি নিজেও অনুভব করছিলাম ওই চাপটা। দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে যেভাবে আউট হয়েছিলাম আর হায়দরাবাদ টেস্টে যেভাবে আউট হয়েছিলাম তাতে আমিও হতাশ হয়েছিলাম। প্রত্যাশা যে আমার উপর কতখানি তা জানি। সেটা হয়তো আমার নার্ভাসনেসের অন্যতম কারণ। আমি নিউজপেপার পড়ি না। সোশ্যাল মিডিয়াতেও কে কী বলছে চেক করি না। ভালো না খেললে কথা তো হবেই। এটা নিয়ে কিছু বলতে পারি না। আমি নিজেই তো জানি যে ভালো খেলতে পারছি না।’
ভারতের তরুণ ক্রিকেটার শুভমন জানান, তিনি মনে করেন দলে এই মুহূর্তে যে নতুন ক্রিকেটাররা রয়েছেন প্রত্যেকেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি করা যশস্বীর প্রশংসা করে শুভমন বলেন, ‘যশস্বী ভীষণ ক্যালকুলেটেড। ও জানে কোন সময় ঝুঁকি নেওয়া যায়। ও জানে কখন কোন বোলারের উপর চাপ দেওয়া প্রয়োজন। দলে যে তরুণ ক্রিকেটাররা এসেছে, ওরা এখন বড় শট খেলতে ভয় পায় না। আমরা ওদের ব্যাটিংটা উপভোগ করি।’





