নয়াদিল্লি: সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) রেখে যাওয়া সিংহাসন এখন বিরাট কোহলির (Virat Kohli) দখলে। ভি-কে মসনদ কে নেবেন দখলে? গত শতাব্দীর নয়ের দশক থেকে যে কোনও উঠতি ছেলের স্বপ্ন ছিল সচিন হওয়া, তাই এখন বদলে গিয়ে বিরাট। কে হয়ে উঠতে পারেন আগামী দিনে বিরাট কোহলি? কিংবা কে স্বপ্ন দেখছেন মেগাস্টারের জুতোয় পা গলানোর? শুভমন গিলের (Shubhman Gill) নাম শোনাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট মহল। জাতীয় টিমে পা দেওয়ার পর থেকে শুভমন অসম্ভব সফল। প্রতি ম্যাচেই যেন বিরাট-আগ্রাসনের ঝলক তুলে ধরার চেষ্টা করেন। ভারতীয় টিমের হয়ে সব ফর্ম্যাটেই সেঞ্চুরি করে বসে আছেন। সুরেশ রায়না (Suresh Raina) বলে দিচ্ছেন, শুভমনের স্বপ্ন বিরাট কোহলি হয়ে ওঠা। কেন বলছেন এই কথা? TV9Bangla Sports এ বিস্তারিত।
মিস্টার আইপিএল এক ইন্টারভিউতে বলেছেন, ‘ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে শুভমন ভারতীয় টিমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। আমি খুব ভালো করে জানি, ও সুপারস্টার হতে চায়। আর ভালো করে বললে, শুভমন চায় বিরাট কোহলি হয়ে উঠতে। ওর মধ্যে কিন্তু সেই ব্যাপারটা আছে। বিশ্বকাপের পর ও নিজেকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।’ ২৪ বছরের গিল গত আইপিএলে মাতিয়ে দিয়েছিলেন। কেকেআরে খেলার সময় প্রায় হারিয়েই যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন হয়েছে তাঁর। সম্প্রতি এশিয়া কাপের ৬ ম্যাচে ৩০২ রান করেছেন তিনি। গড় ৭৫.৫০।
রায়না নিজেও খুব পছন্দ করেন শুভমনের আগ্রাসন। ঠান্ডা মাথায় যে বোলারকে পাঠাতে পারেন মাঠের বাইরে। তাঁর কথায়, ‘ওর অবিশ্বাস্য় হ্যান্ড স্পিড। যেটা ব্যাটার হিসেবে ওকে আরও পোক্ত বানিয়েছে। স্পিনাররা বুঝতেই পারে না কোথায় বল ফেলবে। যদি পেসাররা সুইং করাতে না পারে একই রকম আগ্রাসন নিয়ে শট খেলে। ওর আগুনে মানসিকতা কিন্তু ওখানেই থামায় না গিলকে। আমার তো মনে হয়, ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা যেমন খেলেছে ভারতের হয়ে, এ বারের বিশ্বকাপটা তেমন খেলবে গিল। গিল ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারে। এটা ওর ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমার তো ওকে দেখে নেতা মনে হয়। গিলের খেলার মধ্যেই এই ব্যাপারটা রয়েছে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পারফর্ম করতে পারেননি শুভমন। যে কারণে কথাও শুনতে হচ্ছিল। সেখান থেকে এশিয়া কাপে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন গিল। রায়না বলে দিচ্ছেন, ‘গত দেড় বছর ধরে ছেলেটা দারুণ ধারাবাহিক। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওকে চাপে পড়তে দেখেছি। এশিয়া কাপে যে ভাবে ফিরে এসেছে, দেখে সত্যিই ভালো লাগছিল। ভীষণ পজিটিভ ছিল। ফুটওয়ার্ক দারুণ। ৫০ কিংবা ১০০তেও সাবলীল দেখাচ্ছে।’