পুনে: সেঞ্চুরিটা প্রথম ম্যাচেই হতে পারত। চিপকে জশ হ্যাজলউডের শর্ট পিচ ডেলিভারিটা ঠিকঠাক খেলতে পারলে…। যদিও তা হয়নি। শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচে ফেরেন। তেইশের বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির ব্যাটে প্রথম সেঞ্চুরি এল। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে। প্রথম ম্যাচে ৮৫, পরের ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় রান না পাওয়ার আক্ষেপ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে অনেক আক্ষেপ মিটল, রেকর্ডও তৈরি হল। একটা নয়, অনেক অনেক রেকর্ড। ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতেও দুঃখপ্রকাশ বিরাট কোহলির! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
দুটো উইকেট, অনবদ্য ক্যাচ। ম্যাচের সেরার পুরস্কার হয়তো জাডেজাও জিততে পারতেন। তবে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির পর বিরাটকে ছাড়া আর কাউকে এই পুরস্কার দেওয়ার উপায় ছিল না। বিশ্বকাপের মঞ্চে কোহলির শেষ সেঞ্চুরি এসেছিল ২০১৫ সালে। অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট। মাঝে বেশ কিছু সেঞ্চুরি এলেও বিশ্বকাপের খরা মিটল এ বার। কেরিয়ারের ৪৮তম ওডিআই সেঞ্চুরি। এই ফরম্যাটে মাস্টারব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরকে ছুঁতে আর মাত্র একটি সেঞ্চুরি প্রয়োজন বিরাট কোহলির। এই বিশ্বকাপেই হয়তো সচিনের রেকর্ড ভাঙতে পারেন। সব ফরম্যাট মিলিয়ে সচিনের একশো সেঞ্চুরির সঙ্গেও ব্যবধান আরও একটু কমল। কেরিয়ারের ৭৮তম সেঞ্চুরি করলেন বিরাট। প্রয়োজন আরও ২২টি! এই রেকর্ড ভাঙা খুবই চাপের।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিরাটের সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত পার্টনারশিপ রাহুলের। প্রয়োজনীয় রান খুবই কম ছিল। রাহুল শট খেললে কিংবা নিজে রান করলে বিরাটের সেঞ্চুরি পূর্ণ হত না। ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ২৬০০০ আন্তর্জাতিক রানেও পৌঁছলেন বিরাট কোহলি। বিশ্বের চতুর্থ ব্যাটার এবং দ্রুততম হিসেবে এই মাইলফলকে কিং কোহলি। আইসিসি সাদা বলের ইভেন্টে সবচেয়ে বেশি রান, প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে তিনে নেমে বিশ্বকাপে হাজার রান, আইসিসি ইভেন্টে রান তাড়ায় সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ স্কোর, আইসিসি ইভেন্টে সবচেয়ে বেশি ম্যাচের সেরার পুরস্কার। আর এই পুরস্কার জিতেই বন্ধুর কাছে দুঃখপ্রকাশ বিরাটের।
বিরাটের সেঞ্চুরির আগে ধরেই নেওয়া হয়েছিল জাডেজাই সেরার পুরস্কার জিততে চলেছেন। বিরাটও সেটা জানতেন। পুরস্কার হাতে বলেন, ‘জাড্ডুর থেকে এই পুরস্কার চুরি করে নেওয়ায় দুঃখিত। আমি বড় একটা অবদান রাখতে চেয়েছিলাম। বিশ্বকাপে পঞ্চাশ করাটা নয়, ম্যাচটা ফিনিশ করে আসতে চেয়েছিলাম।’ বিরাটের সেঞ্চুরি হওয়াটা যে কোনও চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। বিরাটও বলছেন, ‘আমি শুভমনকে বলছিলাম, স্বপ্নেও এই পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরি করা সম্ভব হত কিনা জানি না। পিচও দুর্দান্ত ছিল। শট খেলে আনন্দ পেয়েছি।’