লন্ডন: সাত কিংবা আটের দশকের কথা মনে পড়ে? ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে গেলে কত কিই স্মৃতি ভেসে ওঠে। তখনও ক্রিকেট এখনকার মতো বাণিজ্যিক হয়ে ওঠেনি। সারা বছর গুচ্ছ গুচ্ছ ম্যাচও খেলতে হত না ক্রিকেটারদের। তাই ক্রিকেট ম্যাচ ঘিরে থাকত বাড়তি আকর্ষণ। ভক্তদের মধ্যে তৈরি হত চরম উন্মাদনা। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ম্যাচ অফিসিয়ালরাও ছিলেন সমান জনপ্রিয়। তাই খুব বেশি ম্যাচ অফিসিয়ালদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেখা যেত না। মুষ্টিমেয় আম্পায়ারই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ম্যাচ পরিচালনা করতেন। তাঁদেরই একজন ডিকি বার্ড। ছোটখাটো চেহারার এক আম্পায়ারকে দেখা যেত কিছুটা ঝুঁকে আম্পায়ারিং করতে। তাঁর পুরো নাম হ্যারোল্ড ডেনিস বার্ড। ডাকনাম ছিল ডিকি। সেই নামেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন এই ব্রিটিশ আম্পায়ার। আম্পায়ারিংয়ে আসার আগে অবশ্য ক্রিকেটও খেলতেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চুটিয়ে খেলেছেন তিনি। ইয়র্কশায়ারের হয়েই অধিকাংশ ম্যাচ খেলেছেন ডিকি বার্ড। ভারতীয় ক্রিকেটে তিনি আরও একটা কারণে অতি পরিচিত। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এপ্রিলের ১৯ তারিখ নব্বই বছরে পা রাখলেন সেই ডিকি বার্ড। এখনও তিনি প্রত্যেকের কাছে সমান জনপ্রিয়। আর এই ৯০ বছরেও সুপার ফিট ডিকি বার্ড। এখনও প্রতিদিন শরীর চর্চা করেন। বিবিসি ইয়র্কশায়ারকে দেওয়া এক সক্ষাৎকারে ডিকি বার্ড বলেন, ‘আমাকে যারা শুভেচ্ছা জানিয়েছে, প্রত্যেককে অসংখ্য ধন্যবাদ। বিশ্বের সমস্ত জায়গা থেকেই শুভেচ্ছা পেয়েছি। আমি মানুষ ভালোবাসি।’
৯০ বছরেও এমন ফিট কী ভাবে? ডিকির উত্তর, ‘বয়স্ক মানুষদের ফিটনেস ধরে রাখতে শরীর চর্চার বিকল্প কিছু নেই। প্রত্যেক দিন নিয়ম করে শরীর চর্চা করলেই অনেক দিন ফিট থাকা সম্ভব। হাত-পা এক্সারসাইজের পাশাপাশি একটু দৌড়নোও দরকার। এতে মস্তিষ্কও বেশ সচল থাকে।’
নব্বই বছরেও যেন ২১ বছরের মতো তরতাজা ডিকি বার্ড। জানালেন, তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য ৯৫-কে ছোঁয়া। সেটা একবার হয়ে গেলেই সেঞ্চুরি পূরণ করতে চান ডিকি বার্ড। ২৩ বছরের দীর্ঘ আম্পায়ারিং জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। আর শেষ হয়েছিল ১৯৯৬ সালের লর্ডস টেস্টে। যে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে আরও বেশি পরিচিত ডিকি বার্ডের নাম। লর্ডসের সেই অভিষেক টেস্টেই শতরানের ইনিংসে সৌরভ দুর্দান্ত প্রত্য়াবর্তন করেছিলেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে।