নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেট এখন নিরাপদ হাতে। এমনই বলছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। জয়পুরে ভারতের নতুন কোচ হিসেবে বন্ধু রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) দায়িত্ব নিয়েছেন। আর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির চিফ কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন আর এক সতীর্থ ভিভিএস লক্ষ্মণ। ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন হওয়ার অনেক আগে থেকেই যাঁদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক সৌরভের।
দ্রাবিড় ও লক্ষ্মণকে কোচ হিসেবে রাজি করানো কতটা কঠিন ছিল? সৌরভ বলেছেন, ‘যে কেউ যদি ওদের গিয়ে বলে, একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে, ওরা রাজি করতে রাজি হয়ে যাবে। ওরা দু’জন রাজি হয়ে যাওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি। ভারতীয় ক্রিকেট এখন নিরাপদ হাতে। আবেগের জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে বলছি, ওরা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য দায়িত্ব নিতে রাজি হওয়ায় আমি সত্যিই খুশি।’
ক্রিকেট জীবনে টাচের যেমন বিখ্যাত ছিলেন, তেমনই নরম স্বভাবের মানুষ লক্ষ্মণ এনসিএ-তে জনপ্রিয়তা পাবেন, বিশ্বাস সৌরভের। বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলছেন, ‘লক্ষ্মণের দায়বদ্ধতাই ওকে এনসিএ-র কোচ বাছার অন্যতম কারণ। কাজ করার জন্য ও দারুণ মানুষ। ক্রিকেটার হিসেবে ও যে কত বড় মাপের, সেটা নিয়ে কারওরই কোনও দ্বিধা নেই। এনসিএ-র কোচ থাকাকালীন রাহুল একটা সিস্টেম চালু করেছিল। লক্ষ্মণ ওটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।’
লক্ষ্মণকে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কোচ করার পাশপাশি অস্ট্রেলিয়ান কোচ ট্রয় কুলিকে পেস বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ করতে চলেছে বিসিসিআই। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ হিসেবে অ্যাসেজ সিরিজে টিমকে সাফল্য দিয়েছিলেন।
হায়দরাবাদের মেন্টর হিসেবে বড় অঙ্কের চুক্তিতে ছিলেন। তা সত্ত্বেও জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্ব নিয়েছেন। আর তাতে অভিভূত সৌরভ। বলেছেন, ‘আগামী তিন বছরের জন্য হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুতে শিফ্ট করছে লক্ষ্মণ। এটা একটা বড় ব্যাপার। এটা ঘটনা যে, ওর আয় কমে যাবে। তা নিয়ে ওর আপত্তি নেই। পরিবার নিয়েই ও বেঙ্গালুরু চলে যাচ্ছে। ওখানকার স্কুলেই পড়বে বাচ্চারা। এক শহর থেকে আর শহরে চলে যাওয়ায় অনেক পরিবর্তন হয়। ক্রিকেটের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকলে এটা করা যায় না।’