Sourav Ganguly: সচিনের আপত্তি থাকলেও পাত্তা দেননি ক্যাপ্টেন সৌরভ, আর তারপরই তৈরি হল ইতিহাস
উত্তেজনার চোরাস্রোত বইছে... গায়ের রক্ত গরম হচ্ছে... সুদূর লর্ডসের ব্যালকনিতে উত্তেজনার বশে জার্সি খুলে ওড়াতে শুরু করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সালটা ২০০২। আর দিনটা ছিল ১৩ জুলাই। লর্ডসের ব্যালকনি দেখেছিল সৌরভের আসল দাদাগিরি। ওই দৃশ্য কোনও ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমী আজও ভোলেননি। দেশের মাটিতে ভারতীয় দল একাধিক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতেছে। বিদেশের মাটিতেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ভারতের জেতার উদাহরণ কম নেই।

কলকাতা: উত্তেজনার চোরাস্রোত বইছে… গায়ের রক্ত গরম হচ্ছে… সুদূর লর্ডসের ব্যালকনিতে উত্তেজনার বশে জার্সি খুলে ওড়াতে শুরু করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সালটা ২০০২। আর দিনটা ছিল ১৩ জুলাই। লর্ডসের ব্যালকনি দেখেছিল সৌরভের আসল দাদাগিরি। ওই দৃশ্য কোনও ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমী আজও ভোলেননি। দেশের মাটিতে ভারতীয় দল একাধিক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতেছে। বিদেশের মাটিতেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ভারতের জেতার উদাহরণ কম নেই। কিন্তু ২০০২ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ভারতের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয় বরাবরই বিশেষ ম্যাচের তালিকায় থাকবে। আর লর্ডসের ব্যালকনিতে সৌরভের সেই জার্সি ওড়ানোর দৃশ্য… যা কখনও ভোলার নয়। সে দিন তাঁর পাশেই লর্ডসের গ্যালারিতে ছিলেন রাজীব শুক্লা। সম্প্রতি তিনি শোনালেন এক অজানা গল্প। সে দিন সৌরভ হঠাৎ করে জার্সি ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নেননি, বরং তা ছিল মহারাজের পূর্ব পরিকল্পিত।
‘Unfiltered by Samdish’ ইউটিউব চ্যানেলে এক খোলামেলা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাজীব শুক্লা। বর্তমানে বিসিআইয়ের তিনি সহ-সভাপতি। ২০০২ সালে ভারত যে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জিতেছিল, সেই সময় রাজীব শুক্লা দলের সঙ্গে গিয়েছিলেন। তিনি সেই সময় ভারতীয় দলের ম্যানেজার ছিলেন। তাঁর কাছে সেই বিশেষ দিনের এক অজানা গল্প শোনা গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সৌরভ চেয়েছিলেন দলের সকলে ম্যাচ জেতার পর জার্সি খুলে ওড়াক। কিন্তু তাতে সচিনের মতে সিনিয়র ক্রিকেটার সায় দেননি। এরপর যা হয়েছিল, তা ক্রিকেট বিশ্বের অমরগাথায় রয়েছে।
রাজীব শুক্লা বলেন, “২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির সময় আমি ভারতীয় দলের ম্যানেজার ছিলাম। ফাইনালে আমি সৌরভের পাশেই লর্ডসের ব্যালকনিতে ছিলাম। ও সেই সময় ভারতের অধিনায়ক ছিল। আমার ব্লাড প্রেসার বাড়ছিল। ওই সময় আমি ওষুধও খেয়েছিলাম। আমাকে সৌরভ এরপর বলে ‘রাজু ভাই এটা শুধু আমার সঙ্গেই কেন হয়? যে লিগের সব ম্যাচ জিতি, আর ফাইনালে এসে হেরে যাই।’ এরপরই ও বলে আর তো মাত্র ৫২ রান বাকি। আর অনেক বলও বাকি। তাই মনে হয় এই ম্যাচটা আমরা জিততে পারি। তখন আমি ওকে বলেছিলাম, তা হলে বার্তা পাঠাও ধীরে ধীরে স্ট্রাইক রোটেট করো। যে সময় মনে হল দল জিততে পারে, তখন সৌরভ আমাকে বলেছিল, ‘রাজু ভাই দলের সকলে টি শার্ট ওড়াক।’ তখন আমি আর সচিন বলেছিলাম তেমনটা করা ঠিক হবে না। এটা একটা জেন্টলম্যান্স গেম। সৌরভ তখন জানায়, ও সেটা করবে। এবং করেওছিল।”





