সেঞ্চুরিয়ন: সামনেই বিশ্বকাপ। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্স যেন যে কোনও প্রতিপক্ষকেই ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ঠ। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ। প্রথম দু-ম্যাচ হেরে ০-২ পিছিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টানা দুটি জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল প্রোটিয়ারা। এই সিরিজে সর্বাধিক স্কোর ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ৩৯২ করেছিল তারা। সেই স্কোর ছাপিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ ওয়ান ডে-তে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলল ৫ উইকেটে ৪১৬। জবাবে অস্ট্রেলিয়া অলআউট ২৫২ রানে। কিন্তু স্কোর বোর্ড যে সব কথা বলে না! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। মার্কাস স্টইনিস কোটার প্রথম ৭ ওভারে দেন মাত্র ২২ রান! পরবর্তী ৩ ওভারে ৫৯ রান। নাথান এলিস নিজের প্রথম সাত ওভারে দেন ৩৭ রান। কোটার বাকি ৩ ওভারে ৪২ রান। অজি বোলারদের মধ্যে সফল বলা যায় মাইকেল নেসারকে। কেরিয়ারের তৃতীয় ওয়ান ডে খেলেন। শেষ বার ২০১৮ সালে সুযোগ মিলেছিল। সতীর্থদের দুর্দশার দিনে ৫৯ রান দিয়ে ১ উইকেট তাঁর ঝুলিতে।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য সেরা ব্যাটিং তুলে রেখেছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং কিলার মিলার। চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। কুইন্টন ডি’ককের সঙ্গে ওপেন করেন রিজা হেনড্রিক্স। কুইন্টন ৬৪ বলে ৪৫ এবং রিজা ৩৪ বলে ২৮ রান করে। রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ৬৫ বলে ৬২। এই ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া এডেন মার্করাম ১১ বলে ৮ রান। ১৯৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরই ক্লাসেন-মিলার তাণ্ডব।
পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ক্লাসেন। ছয়ে মিলার। পঞ্চম উইকেটে ৯৪ বলে ২২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ১৩টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে ৮৩ বলে ১৭৪ রান করেন হেনরিখ ক্লাসেন। ডেভিড মিলার ৪৫ বলে ৮২ রানে অপরাজিত। ১৬৪ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি আর এক ম্যাচ। সেই ম্যাচেই সিরিজের ফল নির্ণয় হবে।