নয়াদিল্লি: এ বার স্বার্থের সংঘাতে বিদ্ধ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট রজার বিনি (Roger Binny)। অবশ্য ক্রিকেট প্রশাসনে এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার, যাঁরা বোর্ডের (BCCI) নানা পদে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট বা স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। তবে বিনির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কিছুটা হলেও চাপ বাড়াচ্ছে। তার কারণই হল, ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী টিমের অন্যতম সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগটা বেশ জটিল। এতে তিনি সরাসরি জড়িয়ে নেই। তাঁর পরিবারের এক সদস্যের কারণেই অভিযুক্ত হয়েছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। বোর্ডের এথিক্স অফিসার বিনীত শরণ নোটিশ ধরিয়েছেন বিনিকে। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে বোর্ড প্রেসিডেন্টকে। ঘটনা আসলে কী, তুলে ধরল TV9 Bangla।
কেন স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠল বিনির বিরুদ্ধে? ঘটনাটা বেশ মজার। বিনির ছেলে স্টুয়ার্ট বিনি, যিনি একসময় ভারতের হয়ে খেলেওছেন, সেই তাঁর স্ত্রী মায়ান্তি ল্যাঙ্গার। বিনির পুত্রবধূ আবার স্টার স্পোর্টসের সঞ্চালক। এই স্টার স্পোর্টস ভারতীয় ক্রিকেট সম্প্রচারের সত্ত্ব কিনে রেখেছে। মায়ান্তি সেই স্পোর্টস চ্যানেলের সঞ্চালক হওয়ার কারণেই চাপে পড়েছেন বিনি। বোর্ড প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সেই সঞ্জীব গুপ্তা। যিনি এর আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকরের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছিলেন।
যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বিনিকে, তাতে লেখা হয়েছে, ৩৯ ধারার ২ ও বি নিয়মে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। ডিসেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে আপনাকে লিখিত জবাব দিতে হবে।
বিনি অবশ্য এ নিয়ে কোনও জবাব এখনও দেননি। বোঝাই যাচ্ছে, বোর্ড প্রেসিডেন্টের পুত্রবধূ একটি টিভি চ্যানেলের সঞ্চালক বলে সঞ্জীব স্বার্থের সংঘাত এনেছেন। কিন্তু বোর্ডের কোনও পদাধিকারী পরিবারের কেউ কোনও টিভি চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না, এমন যুক্তিও খুব একটা আমল পাচ্ছে না।