ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গত সংস্করণের মিনি অকশনে ঝড় তুলেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্সকে নিতে উঠে পড়ে লেগেছিল। শেষ অবধি প্রায় ২২ কোটি টাকায় কামিন্সকে নিয়েছিল সানরাইজার্স। সেই মুহূর্ত অবধি আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি প্লেয়ার হয়ে উঠেছিলেন কামিন্স। যদিও কলকাতা নাইট রাইডার্স আসরে নামতেই নতুন রেকর্ড। আর এক অজি পেসার মিচেল স্টার্ককে প্রায় ২৫ কোটি টাকায় নিয়েছিল কেকেআর। এ বার স্টার্ককে রিটেন করেনি গত বারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআর। তবে রানার্স সানরাইজার্স হায়দরাবাদ রিটেন করল প্যাট কামিন্সকে। কোর টিম ধরে রাখল সানরাইজার্স।
গত কয়েকদিন থেকেই গুঞ্জন চলছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হতে পারেন হেনরিখ ক্লাসেন। সেটাই সত্যি হল। ক্লাসেনকে ২৩ কোটি টাকায় রিটেন করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাদের দ্বিতীয় রিটেনশন হলেন প্যাট কামিন্স। ক্যাপ্টেনকে ১৮ কোটি টাকায় ধরে রেখেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রত্যাশিত ভাবেই বিধ্বংসী তরুণ ওপেনার অভিষেক শর্মাকেও রেখেছে সানরাইজার্স। তাঁকে রেখেছে ১৪ কোটিতে!
সানরাইজার্সের মূলত অঙ্ক ছিল ট্রাভিস হেড ও নীতীশ কুমার রেড্ডিকে নিয়ে। তাদেরও রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সানরাইজার্স। যদিও নীতীশ কুমারের ক্ষেত্রে কিছুটা টাকার অঙ্কে বোঝাপড়া করতে হয়েছে। ক্যাপড প্লেয়ারদের রাখার ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল ১১ কোটির। তবে কোনও প্লেয়ার স্যালারি কমাতে রাজী হলে সমস্যা নেই। নীতীশ এমনিতে যা পেতেন, তার চেয়ে ৬ কোটি টাকা তাঁর কাছে বিশাল অঙ্কই বলা যায়। আর এখানে তিনি নিয়মিত সুযোগ পাবেন, এই নিশ্চয়তাও রয়েছে। নিলামে আরটিএম কার্ড ব্যবহার করে একজন আনক্যাপড প্লেয়ারকে নেওয়ার সুযোগ থাকছে সানরাইজার্সের কাছে।