
লখনউ: শক্তিশালী দল। যদি সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায়নি শ্রীলঙ্কা। যোগ্যতা অর্জন পর্বে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল। কিন্তু মূলপর্বে এখনও অবধি খাতা খুলতে পারেনি। দলে বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারের না থাকাও অন্যতম কারণ। প্রধান কারণ অবশ্যই ধারাবাহিকতার অভাব। দাসুন শানাকাও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন। কুশল মেন্ডিসের নেতৃত্বও শ্রীলঙ্কার ভাগ্য বদলাতে পারেনি। হারের হ্যাটট্রিক করেছে। আজ লখনউতে তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। এই ম্যাচে আদতে কোন দল আন্ডারডগ, সেটাই বোঝা কঠিন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এক যুগ পর ওয়ান ডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে নেদারল্যান্ডস। এর আগে ভারতেই বিশ্বকাপ খেলেছিল। আধডজন ম্যাচ খেলে খালি হাতেই ফিরেছিল নেদারল্যান্ডস। এ বার একটি জয় ইতিমধ্যেই ঝুলিতে। তাতে অবশ্য ‘সন্তুষ্ট’ থাকতে নারাজ ডাচ শিবির। এক বার যে দল বড় মঞ্চে জয়ের স্বাদ পায়, তারা কি সেটা হারাতে চাইবে? একেবারেই না। বরং এই নেদারল্যান্ডস টিম যে আরও বেশ কিছু অঘটন ঘটাতে পারে, হলপ করে বলা যায়। ব্যাটিংয়ে গভীরতা রয়েছে। প্রয়োজন ধৈর্য। বোলিংয়েও তাই। ফিল্ডিং দুর্দান্ত। কিছু হারানোর ভয় না থাকা দলের প্রাপ্তির সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর ভুললে চলবে না এই টিমে কলিন অ্যাকারম্যান, বাস ডি লিড, রোলেফ ভ্যান মারওয়ের মতো অলরাউন্ডার রয়েছেন। যাঁরা, যে কোনও ম্যাচে রং বদলে দিতে পারেন।
শ্রীলঙ্কা আন্ডারডগ এটা হয়তো বলা যায় না। পরিস্থিতি তাদের সেই জায়গায় দাঁড় করিয়েছে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও ব্যাটিং ভালো হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারে না, এটাই তাদের প্রধান সমস্যা। কোনও ম্যাচে ব্যাটিং ভালো হয়, কোনও ম্য়াচে বোলিং। নেদারল্যান্ডস যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলে এসেছে। তেমনই শ্রীলঙ্কাও। ওডিআইতে টানা ১৩টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও গড়েছে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে। এই দলই এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়েছে। শ্রীলঙ্কা সম্পর্কে এক শব্দে বলা যায়, ‘আনপ্রেডিক্টেবল’।
বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে দু-বার মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডস। মাত্র তিন মাস আগের কথা। দুই সাক্ষাতেই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। এ বার যেন দু-দলই একই বিন্দুতে। বরং বলা ভালো, নেদারল্যান্ডস ১ শতাংশ হলেও এগিয়ে। অন্তত আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে।