Bengal Cricket: বাংলায় ফিরেই সেঞ্চুরি সুদীপের, ঋদ্ধির প্রত্যাবর্তন সুখের হল না
Ranji Trophy 2024-25: উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৭ উইকেটে ২৬৯। যার মধ্যে ২২৭ বলে ১১৬ রানের ইনিংস ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের। অভিমন্যু ৫ রানে ফেরেন। দুই সুদীপ মিলে দ্বিতীয় উইকেটে জমাট জুটি বাঁধেন।
কলকাতা: রঞ্জি ট্রফির ঢাকে কাঠি পড়েছে। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে চলছে বাংলা ও উত্তরপ্রদেশের ম্যাচ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। দীর্ঘ দু’বছর বাংলার ক্রিকেট প্রেমীরা ওপেনিংয়ে অভিমন্যু ঈশ্বরণের সঙ্গে ওপেনিংয়ে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে চাইছিলেন। অবশেষে সুদীপ ফিরলেন বাংলায়। আর প্রত্যাবর্তন রাঙিয়ে রাখলেন সেঞ্চুরি দিয়ে। আর অন্যদিকে সুদীপের সেঞ্চুরির মঞ্চে বাংলায় আর এক প্রত্যাবর্তনকারী ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাট জ্বলল না।
উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৭ উইকেটে ২৬৯। যার মধ্যে ২২৭ বলে ১১৬ রানের ইনিংস ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের। অভিমন্যু ৫ রানে ফেরেন। দুই সুদীপ মিলে দ্বিতীয় উইকেটে জমাট জুটি বাঁধেন। তিনে নামা সুদীপ ঘরামিও সেঞ্চুরি করতে পারতেন। কিন্তু ৯০ রানে তিনি আউট হন। ক্যাপ্টেন অনুষ্টুপের ব্যাট চলেনি। ১ রানে আউট তিনি। উইকেটকিপার ব্যাটার অভিষেক পোড়েল ২ রান করেন। আর অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ঋদ্ধি রানের খাতা খুলতে পারেননি। প্রথম দিনের শেষে শাহবাজ আহমেদ ২৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল (০*)। উত্তরপ্রদেশের হয়ে প্রথম দিন ৪ উইকেট নেন বিপরাজ নিগম। একটি করে উইকেট যশ দয়াল ও সৌরভ কুমারের।
বাংলা-উত্তরপ্রদেশ ম্যাচের প্রথম দিন যিনি আলোচনায়, তিনি হলেন সেঞ্চুরিয়ন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। ঋদ্ধিমান সাহার মতোই সুদীপও বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা গিয়েছিলেন। গত দু’মরসুম ত্রিপুরার হয়ে খেলেছে। অভিমান ভুলে এ বার অবশেষে বাংলায় প্রত্যাবর্তন। আর বাংলার জার্সিতে নতুন শুরু সেঞ্চুরি দিয়ে। যদিও ঋদ্ধিমান সাহার প্রত্য়াবর্তন সুখের হল না। শূন্য হাতেই ফিরলেন বাংলার অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটার।
বাংলা ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তার অপমানজনক মন্তব্যের কারণে বাংলা ছেড়েছিলেন ঋদ্ধি। অন্য দিকে, খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন সুদীপও। রান আসছিল না, বাংলা দলে পর্যাপ্ত সুযোগও পাচ্ছিলেন না। সে কারণেই ঋদ্ধির পথেই বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। একটা সময় তাঁকে জাতীয় দলে যোগ্য মনে করা হত। ভারত এ-দলের হয়েও খেলেছেন। রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কোচ সুদীপকে নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন।
এ বার সেই সুদীপ সাময়িক ব্যর্থতা কাটিয়ে বাংলায় প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখলেন। সঙ্গে জাতীয় দলের নির্বাচকদেরও যেন বার্তা দিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি। সামনেই ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর। তার আগে যাবে ভারত এ দল। সুদীপ যদি তার আগে রঞ্জি ট্রফিতে এই রকম ইনিংস খেলতে থাকেন, হয়তো আবার ভারত-এ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে দেখা যেতে পারে তাঁকে।