কলকাতা: গুরু গম্ভীর ও ক্যাপ্টেন স্কাইয়ের রসায়ন সকলের চোখে পড়ার মতো। গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) যে দিন থেকে ভারতীয় টিমের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) যে দিন থেকে টিম ইন্ডিয়ার টি-২০ ফর্ম্যাটের ব্যাটন ধরেছেন সেই দিন থেকে এখনও অবধি মেন ইন ব্লু কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতেনি। ভারতের হেড কোচের হটসিটে বসার পর থেকে গম্ভীরের একটা পরিষ্কার বার্তা ছিল দলই সব। অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব পেয়ে সূর্যরও সেই মানসিকতা ফুটে উঠেছে। সদ্য বাংলাদেশকে ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে হারানোর পর ক্যাপ্টেন সূর্য ও কোচ গম্ভীরের দলই সবার ঊর্ধ্বে মানসিকতা আবারও ফুটে উঠল। ৪৯, ৯৯ রানে থাকা কোনও ক্রিকেটার যদি মারার বল পান, তা হলে তাঁর কী করা উচিত? সেটার জন্যও বার্তা দেওয়া রয়েছে মেন ইন ব্লুতে।
গৌতম গম্ভীরের পরিষ্কার বার্তা টিমের ঊর্ধ্বে কিছু নয়। কেউ যদি মারার বল পায়, তাঁকে মারতেই হবে। ব্যক্তিগত মাইলস্টোন এখানে প্রাধান্য পাবে না। হায়দরাবাদে সঞ্জু স্যামসন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেন। তিনি যখন ক্রিজে ৯৫ রানে ছিলেন, সেই সময় ৬ মারার চেষ্টা করেছিলেন। এরপরই সূর্য এসে তাঁকে একটু সময় নিয়ে খেলার কথা বলেন। এরপর পরের বলে সিঙ্গল নেন। আর তার পরের বলে বাউন্ডারি মেরে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছান সঞ্জু। দলের সকলের পারফরম্যান্সে খুশি ক্যাপ্টেন স্কাই। তবে তিনি জানিয়েছেন, কোচ গম্ভীরের মতোই তিনিও ব্যাক্তিগত মাইলস্টোনে নয়, দলগত ভালো পারফরম্যান্সে বিশ্বাসী।
সূর্য বলেন, ‘গৌতি ভাই এই সিরিজের আগেও বলেছিল দলই সব। শ্রীলঙ্কায় যখন আমরা টি-২০ সিরিজের জন্য গিয়েছিলাম, তখনও তিনি এটাই বলেছিলেন। যদি তুমি ৯৯ বা ৪৯ রানে থাকো, আর সেই সময় মারার বল পাও, তা হলে সেটা দলের জন্য মারতে হবে। সঞ্জু সেটাই করেছিল। ওর জন্য আমি খুশি।’
দল হিসেবে খেলবে, খেলাটা উপভোগ করবে এটাই গম্ভীর-সূর্যর রসায়নকে আরও গাঢ় করেছে। সূর্য বলেন, ‘আমি মনে করি দল হিসেবে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। সিরিজ শুরুর আগে আমি বলেছিলাম, দলে নিঃস্বার্থ ক্রিকেটার চাই। আমরা সকলে একে অপরের পারফরম্যান্স উপভোগ করি। দলের সকলের সঙ্গে মাঠে ও মাঠের বাইরে যত বেশি সম্ভব সময়ও কাটানোর চেষ্টা করি।’