নয়াদিল্লি: ভিন্ন ফরম্য়াটে ভিন্ন অধিনায়ক। ক্রিকেটে বিভিন্ন দেশেই এমন রয়েছে। তেমনই কোচিংয়ের ক্ষেত্রেও এই চিত্র দেখা যায়। ইংল্য়ান্ডেরই যেমন টেস্ট এবং সাদা বলের জন্য আলাদা কোচ। এ বার ভারতীয় ক্রিকেটেও এমনটাই চাইছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিং। এমন কাউকে কোচ হিসেবে চাইছেন, যিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাহিদাগুলো ভালো বুঝতে পারবেন। তাহলে কি হরভজন সিং বলতে চাইছেন, রাহুল দ্রাবিড় টি-টোয়েন্টি বোঝেন না? সরাসরি না বললেও প্রাক্তন সতীর্থ সম্পর্কে ইঙ্গিত যেন তেমনই। রাহুল দ্রাবিড় কোচ থাকুক। কিন্তু টি-টোয়েন্টির জন্য় ভিন্ন কোচের দাবি তুললেন ভারতের প্রাক্তন অফস্পিনার। ঠিক কী বললেন ভাজ্জি? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ভারত এখনও অবধি মাত্র এক বারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে। ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চ্য়াম্পিয়ন হয়েছিল ভারতের তরুণ দল। সেটাই প্রথম এবং শেষ। এর পর থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অধরাই। গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালেই বিদায় নিয়েছিল ভারত। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই পরিকল্পনা করছে বোর্ড। হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। গত আইপিএলে তাঁর নেতৃত্বে অভিষেকেই চ্য়াম্পিয়ন হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। জাতীয় দলের নেতৃত্বেও সফল হার্দিক। নেতৃত্বের মতো কোচিংয়েও এমনটাই চাইছেন ভাজ্জি।
ভিন্ন কোচিং নিয়ে হরভজন সিং বলছেন, ‘দু-জন অধিনায়ক থাকতে পারলে, দু-জন কোচও থাকতে পারে। কেন নয়? এমন কেউ, যার পরিকল্পনা একটু আলাদা হবে। যেমন ব্রেন্ডন ম্য়াকালামের কোচিংয়ে অনবদ্য় পারফর্ম করছে ইংল্য়ান্ড (টেস্টে)। তেমনই ভারতীয় ক্রিকেটে আশিস নেহরা কিংবা বীরেন্দ্র সেওয়াগের মতো কাউকে দায়িত্ব দেওয়াই যায়। আশিস নেহরা আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রথম বছরেই আইপিএল জিতেছে টাইটান্স। এমন একজনকে দলে আনা হোক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে যার স্বচ্ছ ধারনা রয়েছে।’ অতীতে অবশ্য় ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে বীরেন্দ্র সেওয়াগের নাম উঠেছিল। যদিও শেষ অবধি দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বীরুকে।