কলকাতা: আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করতে হয়েছে হাসপাতালে। ভুগছিলেন বেশ কিছুদিন ধরেই। কিন্তু সোমবার হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী-ছেলে-মেয়েরা তাঁকে ভর্তি করান হাসপাতালে। বিনোদ কাম্বলির অসুস্থ হওয়ার খবর ছড়াতে সময় লাগেনি। অনেকেই কাম্বলির খবর জানতে চেয়েছেন। শুরুতে আশঙ্কাজনক অবস্থা থাকলেও ধীরে ধীরে বিপন্মুক্ত হয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। মঙ্গলবার অনেকেই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন। তাঁর পাশে অনেক মানুষকে দেখে কিছুটা হলেও সুস্থবোধ করছেন, মানসিক ভাবেও অনেকটা চাঙ্গা। সেই কাম্বলির মুখে এই সময়ও বন্ধু সচিন তেন্ডুলকরের কথা।
১৯৯৩ সালে ভারতীয় টিমে অভিষেক হয়েছিল। তারপর দেশের হয়ে ১৭টা টেস্ট ও ১০৪ ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন। ছেলেবেলায় রমাকান্ত আচরেকরের ক্যাম্প থেকেই উত্থান দুই কিশোরের। সেই বন্ধুত্ব আজও অটুট। কিছুদিন আগে শিবাজী পার্কে প্রয়াত রমাকান্ত আচরেকরের মূর্তি বসেছে। ওই বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সচিন ও কাম্বলি। কাম্বলি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতে পারছিলেন না। এক সময়ের অসংযমী জীবনযাপন তাঁকে আরও বিপাকে ফেলে দিয়েছে। ৫২ বছরের ক্রিকেটার ইউরিন সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাম্বলি বলেছেন, ‘আগের থেকে অনেক ভালো আছি। আমি ক্রিকেট কোনওদিন ছাড়তে পারব না। কারণ, যে ক’টা সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরি আমি করেছি, সেগুলো কোনওদিন ভুলতে পারব না। সে সময় আমরা তিনজন বাঁ হাতি ছিলাম। সচিনের কাছে চিরকৃতজ্ঞ আমি। ও সব সময় আমার পাশে থেকেছে।’