Indian Women’s Cricket: ‘এদের ডান্ডার প্রয়োজন’, হরমনপ্রীতদের বকে দিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হতাশার হার ভারতের। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে খালি হাতে ফিরে আসায়

মুম্বই: ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সেই এক কাহিনী। কখনও সেমিফাইনাল, কখনও বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। সম্প্রতি টি-২০ বিশ্বকাপের (Women’s T20 World Cup) সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে মাত্র ৫ রানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত। ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌরের (Harmanpreet Kaur) অর্ধশতরানও ভারতকে ফাইনালে তুলতে পারেনি। শেফালি ভার্মা, রিচা শর্মাদের ক্যাচ মিসের ছড়াছড়ি ম্যাচ হারের অন্যতম কারণ। সব মিলিয়ে ভারতের মহিলা সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ জয়ের অপেক্ষা আরও বাড়ল। বছরের প্রথমেই অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ জিতেছে। ভারতের মেয়েদের ক্রিকেটে সর্বপ্রথম আইসিসি ট্রফি সেটি। আশা ছিল, বোনেদের পর দিদিরাও কাপ হাতে দেশে ফিরবেন। কিন্তু সেমিফাইনালে অজিদের কাছে মাথা নোয়াতে হয়েছে ভারতকে। সেমিফাইনালে আশাভঙ্গ হওয়ায় শাস্তিস্বরূপ হরমনপ্রীত কৌর অ্যান্ড কোম্পানিকে ডান্ডা দিয়ে পেটানোর নিদান দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ডায়না এডুলজি (Diana Edulji)। তাঁর বক্তব্য তুলে ধরল TV9 Bangla।
রীতিমতো বকে দেওয়ার ভঙ্গিতে তিনি বলেছেন, “ওদের এ বার ডান্ডার প্রয়োজন। তোমরা বিসিসিআইয়ের কাছে সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছ। পুরুষ টিমে সমান আয় করছ। অথচ প্রতিবার জেতা ম্যাচ হেরে ফিরে চলে আসছ। হেরে চলে আসাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিসিসিআইকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য সঠিক স্ট্র্যাটেজি নেওয়া প্রয়োজন। দলের মধ্যে তারকা সংস্কৃতি বন্ধ করা প্রয়োজন রয়েছে।” হরমনপ্রীতকেও ধুয়ে দিয়েছেন ডায়ানা। ক্যাপ্টেনের রান আউট নিয়ে বলেছেন, “ও ভেবেছে ব্যাট আটকে গিয়েছে। কিন্তু ভালোভাবে দেখলে বোঝা যাবে দ্বিতীয়বার দৌড়ে আসার সময় ওকে দেখে মনে হচ্ছিল জগিং করছে। তুমি জানো তোমার উইকেট খুব গুরুত্বপূর্ণ অথচ রিল্যাক্স হয়ে দৌড়াচ্ছ। জিততে হলে পেশাদার ক্রিকেট খেলতে হবে। পেরি ডাইভ দিয়ে দুই রান বাঁচিয়ে দিল। একেই বলে পেশাদারিত্ব।”
মেয়েদের দলের জন্যও ইয়ো ইয়ো টেস্ট চালু করার দাবি করেছেন তিনি। ডায়ানার কথায়, “অনূর্ধ্ব ১৯ দলের ক্রিকেটাররা সিনিয়রদের থেকে বেশি ফিট। ওরা ফাইনালের চাপ সামলে নিয়েছে। বিসিসিআইকে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের দিকটা দেখা উচিত। মেয়েদের জন্য ইয়ো ইয়ো টেস্ট বেশ কঠিন। ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনই টেস্ট উতরোতে পারবে না।”
