কলকাতা: ক্রিকেট মাঠে একটু আধটু স্লেজিং খুব স্বাভাবিক বিষয়। কখনও সখনও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় ঠিকই। আসলে উত্তেজক ম্যাচের মাঝখানে মাথার ঠিক থাকে না অনেক সময়ই। যার ফলে, বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। পরিস্থিতি নিজের দিকে টানতে বিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে ভ্রান্ত করাই থাকে লক্ষ্য। একটু মনোসংযোগের ঘাটতি হলেই ফাঁদে ফেলা যায়। সবটাই জেতার তাগিদে। তা বলে মাথা ফাটিয়ে ফেলার হুমকি! হ্যাঁ, এমনই হুমকি পেয়েছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। তখন অবশ্য তিনি জাতীয় দলের সদস্য। কী হয়েছিল সেদিন?
কী হয়েছিল সেদিন?
একসময়ে রবি শাস্ত্রী ছিলেন ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। বহুবার তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভারতকে জয় এনে দিয়েছেন। খেলোয়াড়ি জীবনে শাস্ত্রীর সঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনির মিল পাওয়া যায়। একেবারে শান্ত, ধীর স্থির। জবাব দিতেন শুধু পারফরম্যান্সে। তবে সেবার মুখেই জবাব দিতে হয়েছিল শাস্ত্রীকে। তাছাড়া উপায়ও ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার এক ক্রিকেটারের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল শাস্ত্রীর চোখা বাণী।
ঘটনাটি ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার একটি ম্যাচের। ব্যাট করছিলেন রবি শাস্ত্রী। একসময় বল অস্ট্রেলিয়ার দ্বাদশ খেলোয়াড় মাইক হুইটনির দিকে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গল রান নিতে এগোতে শুরু করেছিলেন । শাস্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে হুইটনি বলে ওঠেন, “ক্রিজ থেকে যদি এক পা বেরোও তোমার মাথা ফাটিয়ে ফেলব।” স্লেজিংয়ে সিদ্ধহস্ত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ভাবেননি লম্বা, সুদর্শন, তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটারটি তাঁর মুখের উপর জবাব দেবেন। ঠান্ডা মাথার শাস্ত্রী সেদিন আর ঠান্ডা থাকেনি।
কী বলেছিলেন শাস্ত্রী?
অহঙ্কারী অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের উদ্দেশে শাস্ত্রী বলেন, ওহে তুমি যেমন করে কথা বল, সেভাবে বল করলে টিমের দ্বাদশ খেলোয়াড় হয়েই থাকবে। শাস্ত্রীর জবাব শুনে হাঁ হয়ে গিয়েছিলেন হুইটনি। আপনাদের জানিয়ে রাখি মাইক হুইটনি ছিলেন বাঁ হাতি ফাস্ট বোলার। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১২টি টেস্ট এবং ৩৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন মাইকেল রয় হুইটনি।