Titas Sadhu: তিতাসের বোলিংয়ে মেয়েদের আইসিসি ট্রফির তৃষ্ণা মিটবে, বিশ্বাস বাবা ও কোচের
U19 Women's T20 WC Final: চলতি বিশ্বকাপে নতুন বলে সুইং ভালো পাচ্ছেন তিতাস। তিনি শুরুর দিকে চাপটা তৈরি করায় মন্নত কাশ্যপ, পার্শ্ববী চোপড়ার মতো স্পিনাররা উল্টো দিকে উইকেট নিতে পারছেন
কলকাতা: দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ কতটা মধুর হতে পারে, তা বলতে পারেন কপিল দেব, সচিন তেন্ডুলকর, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলিরা। এ বার ভারতের মেয়েদের সামনে সুযোগ দেশকে একটা বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দেওয়ার। আজ, ২৯ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার পচেস্ট্রুমে হতে চলেছে অনূর্ধ্ব-১৯ টি২০ মেয়েদের বিশ্বকাপের ফাইনাল (U19 Women’s T20 WC Final)। নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরের মেগা ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও ইংল্যান্ড (IND vs ENG)। দুই দলই যথেষ্ট শক্তিশালী। ফলে ফলাফল এখন থেকেই বলা মুশকিল ট্রফি আসবে ভারতে নাকি, যাবে ইংল্যান্ডে। রবিবারের ফাইনালে শেফালি ভার্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলে নজরে থাকবেন বাংলার ডানহাতি মিডিয়াম পেসার তিতাস সাধু (Titas Sadhu)। চুঁচুড়ার মেয়ে আজ ফাইনালে নামতে চলেছেন। তাঁর আগে তিতাসের বাবা ও ছেলেবেলার কোচেরা TV9Bangla-কে জানালেন তাঁরা আশাবাদী তিতাস ফাইনালেও ভালো পারফর্ম করবে।
চলতি বিশ্বকাপে নতুন বলে সুইং ভালো পাচ্ছেন তিতাস। তিনি শুরুর দিকে চাপটা তৈরি করায় মন্নত কাশ্যপ, পার্শ্ববী চোপড়ার মতো স্পিনাররা উল্টো দিকে উইকেট নিতে পারছেন। আজ ভারতের লড়াইটা একদিকে হবে ইংল্যান্ডের বোলিং বনাম শেফালিদের ব্যাটিং। কারণ, ইংল্যান্ডের বোলিং যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই শেফালি-শ্বেতাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ভারতের স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলা। বোলিং বিভাগে ভারতকে ভরসা দিচ্ছেন পার্শ্ববী চোপড়া, মন্নত কাশ্যপ, তিতাস সাধুরা।
চুঁচুড়ার মেয়ে তিতাস সাধু এ বারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৫টি ম্যাচে খেলেছেন। তার মধ্যে ৪টি উইকেট নিয়েছেন। শেফালি ভার্মা, রিচা ঘোষদের মতো সিনিয়র টিমে খেলা প্লেয়ারদের সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে নিয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ এর ক্রিকেটাররা। বাংলার কিংবদন্তি মহিলা ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামী অবসর নিয়েছেন। হরমনপ্রীত-স্মৃতিদের প্রিয় ঝুলুদি অনেক মহিলা ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণা। তিতাসদের সামনে এখনও লম্বা পথ বাকি। তিতাসের বাবা রনদীপ সাধু যেমন বলেই দিলেন, “এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে ওর পারফরম্যান্স ভালোই হয়েছে। তবে আরও একটু ভালো হতে পারত। চারটে উইকেট পেয়েছে ও। চারটে ক্যাচ মিস না হলে আটটা হত।” এরই মাঝে তিতাসের বাবা আগামীর কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। কারণ, সামনেই মেয়েদের আইপিএলের প্রথম মরসুম। সেখানে এক বার সুযোগ পেলে দেশ-বিদেশের অনেক তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলে অভিজ্ঞতা আরও বাড়বে তিতাসের। এমনটাই মনে করেন তিতাসের বাবা।
চুঁচুড়ার মাঠে অনুশীলন করেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন তিতাস। তাঁর কোচ প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো জায়গায় রয়েছে। বেশ কয়েকজন সিনিয়র প্লেয়ার দলে রয়েছে। তিতাস যেভাবে খেলছে তাতে আগামী দিনে ও আরও ভালো খেলবে। কোনও কিছু শেখার ক্ষেত্রে তিতাসের খুব আগ্রহ রয়েছে।” পাশাপাশি তিতাসের ছেলেবেলার কোচ দেবদুলাল রায়চৌধুরী বলেন, “তিতাস ভালো বল করে। ওর আত্মবিশ্বাসও আছে। ফাইনালে তিতাস দলের হয়ে অবদান রাখবে। ও ভালো বল করবে তো বটেই, ব্যাটিংয়ে সুযোগ পেলে রানও করবে।”