
গড অব অফসাইড। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে এমনটাই বলা হয়ে থাকে। বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্যাপ্টেন। ভারতের সর্বকালের সেরা ক্যাপ্টেনের তালিকায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম থাকবে না, এমনটা অসম্ভব। তরুণ ক্রিকেটারদের তুলে আনা এবং সেটা টিম ইন্ডিয়া বানিয়ে তোলা সৌরভেরই কৃতিত্ব। এমনকি ভারতের উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় কিংবা ২০১১ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু সৌরভের তুলে আনা ক্রিকেটাররাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ক্যাপ্টেন সৌরভ যেমন দাপুটে, তেমনই ব্যাটিংয়ের দিকটাও ভুললে চলবে না। সৌরভ কেন বাঁ হাতি ব্যাটারই হলেন?
অফসাইডে পাঁচ ছ’জন ফিল্ডার রেখেও প্রতিপক্ষর অনেক সময় কোনও লাভ হত না। সৌরভ ঠিক গ্য়াপ খুঁজে নিতেন। সে কারণেই অফসাইডের ঈশ্বর বলা হয় কিংবদন্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। মহারাজের বাঁ হাতি ব্যাটার হয়ে ওঠার নেপথ্যে যে কারণটা সকলেই জানেন, তা হল দাদার কিট। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা স্নেহাশিস বর্তমানে বাংলা ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট। তিনি বাঁ হাতি ব্যাটার ছিলেন। দাদার ব্যাট গ্লাভস যাবতীয় সরঞ্জাম ব্যবহার করতেন বলেই সৌরভ বাঁ হাতি ব্যাটার হয়ে উঠেছিলেন। এর আরও একটা কারণ রয়েছে!
টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে সৌরভকে নানা মজার প্রশ্ন করেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সৌরভ ছেলেবেলায় ফুটবলও খেলতেন। পাশের বাড়িতেই প্রেমিকা ডোনা। তাঁকে দেখার জন্যই কি সৌরভ গোলকিপিং করতেন? সৌরভ অবশ্য আরও মজার উত্তর দেন। বলেন, ‘বাড়ির যেখানে ফুটবল খেলার জায়গা ছিল সেখান থেকে দেখা যেত না। বরং গ্যারেজ থেকে ওদিকটা (ডোনার বাড়ির) দেখা যেত। সে কারণে ক্রিকেটটা গ্য়ারেজেই খেলা হত। দাদুর গ্যারাজটায় ক্রিকেট খেলার জন্য অনেক জায়গা ছিল।’
এরপর অবশ্য নিজে থেকেই ব্যাটিং স্টান্সের প্রসঙ্গ তোলেন সৌরভ। শাশ্বতকে বলেন, যে বিষয়টা ইঙ্গিত করছ, সেটা নিয়ে বলি, আমার কেন বাঁ হাতি স্টান্স! বাঁ হাতি বলেই ওর বাড়ির দিকটা দেখা যেত। দাদার বুদ্ধির আরও একটা নিদর্শনে হেসে ওঠেন শাশ্বতও।