
নয়াদিল্লি: ২০১৯ সাল থেকে পরের তিনটে বছর কেরিয়ারের সবচেয়ে কঠিন ছিল বোধহয়। ওই তিনটে বছর রান পাননি, বলা যাবে না। কিন্তু যে সেঞ্চুরি দিয়ে মাপা হয়েছে তাঁকে, তা আসেনি। আর তাতেই সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন। কথা উঠেছে বারবার। সে সব থামিয়ে দিয়ে আবার মসদনে ফিরেছেন কিং কোহলি। এ বারের বিশ্বকাপে যেন ফর্মের তুঙ্গে রয়েছেন। বিশ্বকাপে জোড়া সেঞ্চুরি সহ ৫৪৩ রান করেছেন। ৩৫তম জন্মদিনে ইডেনে করেছেন সেঞ্চুরি। ওয়ান ডে ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের ৪৯তম সেঞ্চুরির রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেছেন বিরাট কোহলি। সেই তাঁকে উচ্ছ্বসিত ভিভ রিচার্ডসের মতো কিংবদন্তি। কী বলছেন তিনি, TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।
টেস্ট, ওয়ান ডে— দুটো ফর্ম্যাটেই ভিভ একসময় ছিলেন আগ্রাসী ব্যাটার। বিরাটের মধ্যে দিয়ে যেন নিজেকেই দেখতে পান ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি। তিনি বলেও দিচ্ছেন, ‘বিরাট যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেখানে পৌঁছে দিয়েছে ওর মানসিকতা। ও নিজেকে সব সময় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। অতীতে যতবার এর সঙ্গে কথা বলেছি, সব সময় ও নিজের মানসিকতাই তুলে ধরেছে। নিজেকে তাতিয়ে রাখা, এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই ওর সাফল্যের চাবিকাঠি।’
বিরাটকে বরাবর খুঁটিয়ে দেখেন ভিভ। কেরিয়ারের খারাপ-ভালো দুই সময় সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল তিনি। যে কারণে ভিভ আইসিসিকে দেওয়া ইন্টারভিউতে বলেও দিচ্ছেন. ‘বিশ্বকাপের আগে বিরাট কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। তা সত্ত্বেও কিন্তু ওকে বাদ দিয়ে ভাবা যেত না। এই কারণে আমি বরাবর বিরাটের ভক্ত। ও দেখিয়ে দিচ্ছে কেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। ঠিক সচিনকে আমরা যে ভাবে গ্রহণ করেছি।’
১০২১ দিন সেঞ্চুরি ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটাতে হয়েছিল বিরাটকে। অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যে কারণে এক সময় দেশের নেতৃত্বও ছেড়েছিলেন। বিশ্বকাপে বিরাটের দুরন্ত ফর্মের জন্য ভিভের কথায়, ‘ওর এই আগুনে ফর্মের জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে ভারতীয় টিমের কোচদের। সবাই হয়তো ফর্ম নিয়েই কথা বলবে। কিন্তু আমি বলব, ক্লাসটাই আসল। ওটাই থেকে যায়। ওকে ভীষণ ফোকাসড দেখাচ্ছে। সবাই আমাদের দু’জনের মিল নিয়ে কথা বলে। বিরাটের আগ্রাসী মনোভাবটা আমার ভীষণ ভালো লাগে। লং অনে ফিল্ডিং করলেও বোলারের বল যদি প্যাডে লাগে ও ঠিক আবেদন করবে। ক্রিকেটে এতটাই ডুবে থাকে।’