বিরাট কোহলি (Virat Kohli) তখনও ‘বিরাট’ হয়ে ওঠেননি, সেই তখন থেকে বন্ধুত্ব। ২০০৮ সালে নেতা কোহলির হাত ধরে ভারত জিতেছিল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ (U19 World Cup)। সেই টিমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন বাংলার এক উইকেটকিপার-ব্যাটার। বলা হত, বিরাটের মতো তাঁরও ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। একদিন জাতীয় দলে জায়গা করে নেবেন। জাতীয় দলের খেলার স্বপ্নপূরণ হয়নি তাঁর। কিন্তু বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। এখন অবশ্য রঞ্জিতে ঠিকানা বদলে গিয়েছে তাঁর। ক্রিকেটে এখন ছুটি। বিরাটের সেই বঙ্গবন্ধু পুজো করছেন বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
কে বিরাটের এই বন্ধু? তিনি শ্রীবৎস গোস্বামী (Shreevats Goswami)। জাতীয় দলে জায়গা না পেলেও আইপিএলে খেলেছেন কয়েক মরসুম। ক্রিকেট খেলতে খেলতে কেন হঠাৎ বাঁকে বিহারীর পুজো করছেন শ্রীবৎস? বাঁকে বিহারী মন্দিরের পুজারী নীতীন সাবারিয়া গোস্বামী TV9 Bangla-কে বললেন, ‘আসলে শ্রীবৎসর জন্ম গোস্বামী পরিবারে। কলকাতাতে থাকেন ঠিকই, কিন্তু ওর পরিবার প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট সময় সেবা করে। যেহেতু ওদের সেবার সময় চলছে, তাই বৃন্দাবনে এসেছে শ্রীবৎসও। এটা অবশ্য নতুন নয়। ক্রিকেট থেকে ছুটি পেলেই ও বৃন্দাবনে আসে। এর আগেও এসেছে শ্রীবৎস। আজই তো বিহারীজির সকালের আরতি করেছে।’
উইকেটকিপার-ব্যাটার শ্রীবৎস গোস্বামীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বৃন্দাবনে পুজো করার ব্যাপারে বিস্তারিত জানান। বৃন্দাবন থেকে শ্রীবৎস বললেন, ‘আমরা আসলে বৃন্দাবনের গোস্বামী। বাঁকে বিহারী মন্দিরের গোস্বামী। ফলে আমার পরিবার এখানে পুজোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। প্রতি বছরই বাঁকে বিহারী মন্দিরে আমাদের সেবা পড়ে। খেলা না থাকলে আমিও চলে আসি বিহারীজির সেবা করতে। এক সময় আমার দাদু বৃন্দাবন ছেড়ে কলকাতায় চলে গিয়েছিল। তখন থেকে আমরা কলকাতাতেই থাকি। আমার জন্মও তো ওখানেই।’
শ্রীবৎসের কথায়, ‘বিহারীজির ভক্ত হওয়ায় নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি। এখন ক্রিকেট থেকে ছুটি পেয়েছি। আর সেবার তারিখটাও এমন পড়ল যে, দুটো মিলে গেল। তাই বৃন্দাবনে চলে এলাম। আরও কয়েক দিন সেবার সুযোগ রয়েছে। বিহারীজি টান অনুভব করলেই চলে আসার চেষ্টা করি।’
কথায় কথায় শ্রীবৎস জানালেন, বৃন্দাবনে এখনও তাঁদের বাড়ি রয়েছে। সেখানে গেলে নিজেদের বাড়িতেই থাকেন। ছেলেবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলছেন। কী ভাবে পুজো করা শিখলেন? তাঁর উত্তর, ‘গোস্বামী পরিবারে জন্ম আমার। বাড়ির সবাই বিহারীজির সেবা করে। তাই ছেলেবেলা থেকেই পুজো করা শিখে গিয়েছিলাম।’ তিনি জানান, হাওড়ার লিলুয়াতে তাঁর বাড়িতেও বিহারীজির একটা ছোট্ট মন্দির রয়েছে। তাঁর মা সেখানে সমস্ত নিয়ম মেনে পুজো করেন। ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রায় প্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শ্রীবৎস। ক্রিকেট ছাড়ার পর কি বাঁকে বিহারীর নিয়মিত পুজারী হিসেবে দেখা যেতে পারে তাঁকে? এই প্রশ্ন কিন্তু থেকে যাচ্ছে!