রাঁচি : ক্লাব ক্রিকেট থেকে বাংলা (Bengal) দল। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। গত জিম্বাবোয়ে সফরে ওয়াশিংটন সুন্দরের পরিবর্ত হিসেবে শেষ মুহূর্তে জাতীয় দলে জায়গা পান বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ (Shahbaz Ahmed)। বাংলা দলের হয়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন। রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হল শাহবাজের। তাঁকে অভিষেক ক্যাপ তুলে দেন অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। সঙ্গে ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণ। বাংলা ক্রিকেট দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন ভিভিএস। শাহবাজকে খুব কাছ থেকে দেখার সুবাদে তাঁর দক্ষতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রয়েছে ভিভিএসের। তেমনই এনসিএ-র সাপোর্ট স্টাফ সাইরাজ বাহুতুলেও শাহবাজকে ভালোভাবেই চেনেন।
এশিয়া কাপে রবীন্দ্র জাডেজা ছিটকে যাওয়ায় শাহবাজের সম্ভাবনা উজ্জল ছিল। জাডেজার পরিবর্ত হিসেবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রয়েছে অক্ষর প্যাটেল। শাহবাজকে জিম্বাবোয়ে সফর থেকে দলের সঙ্গে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডেও সুযোগ পান। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট হোক বা দীর্ঘ। প্রতিটি ফরম্যাটেই ব্যাটে-বলে নিজেকে প্রমাণ করে গিয়েছেন শাহবাজ। আইপিএলে খেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে। বিরাট কোহলির সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বারবার বলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার শিক্ষা আরসিবি থেকেই। সঙ্গে বাংলার হয়ে তিন ফরম্যাটেই সাফল্য পাওয়ার আত্মবিশ্বাস।
হরিয়ানায় জন্ম হলেও অনেক বছর আগে বাংলায় চলে আসেন শাহবাজ। বাংলাই হয়ে ওঠে তাঁর বাড়ি। ক্লাব ক্রিকেটে নজর কেড়ে বাংলা দলে সুযোগ। তারপর থেকে বাংলা দলে নিয়মিত। আইপিএলে আরসিবির হয়েও নিয়মিত। গত আইপিএলে চোখ ধাঁধানো ফর্মে ছিলেন শাহবাজ। টুর্নামেন্টে ২১৯ রান করেন লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করা শাহবাজ। বল হাতে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ইকোনমি ৯.৬০। লিস্ট এ ক্রিকেটে ২৭ ম্যাচে ৪৭ গড়ে করেছেন ৬৬২ রান। উইকেট নিয়েছেন ২৪টি ইকোনমি মাত্র ৪.৫০। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৫৬ ম্যাচে ৩৯ উইকেট নিয়েছেন। ইকোনমি ৭.২৪। শাহবাজের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্কোয়াডে রয়েছেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমারও। এ বার তাঁর অভিষেকের অপেক্ষা।