বিশাখাপত্তনম : প্রথম ওডিআইতে পারিবারিক কারণে রোহিত শর্মা খেলতে পারেননি। তাঁর অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্য়াচ জিতলে সিরিজও নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু বিশাখাপত্তনমে ১০ উইকেটের বিশাল ব্য়বধানে হার। রোহিত ফিরলেন, ছন্দ ধরে রাখতে পারল না দল। গত ম্য়াচেও ভারতীয় ব্য়াটিংয়ে বরাবরের মতো সমস্য়া হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাঁ হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। বাঁ হাতি পেসারের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্য়াটিংয়ের দুর্বলতা নতুন নয়। এ দিন আরও বেশি ধরা পড়ল যেন। অজি বাঁ হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক নিলেন ৫ উইকেট। যার জেরে ভারতীয় দল মাত্র ১১৭ রানেই অলআউট। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর। ম্য়াচ শেষে কী বলছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ভারতের টপ অর্ডার ব্য়াটারদের মধ্য়ে বিরাট কোহলি ৩১ রান করেন। লোয়ার অর্ডারের ২৯ রানের অবদান অক্ষর প্য়াটেলের। সঙ্গী পেলে হয়তো আরও কিছুটা রান যোগ করতে পারতেন অক্ষর। বোর্ডে মাত্র ১১৭ রানের পুঁজি নিয়ে বোলারদের লড়াই করার জায়গা থাকে না। মাঠে নামার আগেই যেন হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১১ ওভারেই ম্য়াচ জিতে নিল। ওভার প্রতি রান এল ১১ করে! অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘খুবই হতাশার। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। নিজেদের যোগ্য়তা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। আর যাই হোক, এটা ১১৭ রানের পিচ ছিল না। কোনও অজুহাত দেওয়ার জায়গা নেই। আমরা ব্য়াটিংটাই করতে পারিনি।’ মিচেল স্টার্ক যেন একার হাতেই ভারতীয় ব্য়াটিংয়ের আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দেন। রোহিত যোগ করলেন, ‘স্টার্ক দক্ষ বোলার। ধারাবাহিক ভালো বোলিং করে চলেছে। নিজের শক্তি অনুযায়ী বোলিং করছিল। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হত আমাদের। ওদের সব বোলারই আমাদের চাপে রেখেছিল।’
পাঁচ উইকেটে ম্য়াচের সেরার পুরস্কার জিতলেন মিচেল স্টার্কই। সেরার পুরস্কার হাতে স্টার্ক বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ছন্দে রয়েছি। খুব ভুল না করলে, দু-ম্য়াচেই সুইং ঠিকঠাক করাতে পেরেছি। পিচ থেকেও সাহায্য আদায় করে নিয়েছি। খুবই ভালো লাগছে। আশা করি এই ছন্দ ধরে রাখতে পারব।’ পাঁচ উইকেট নিলেও অস্বস্তি রয়েছে স্টার্কের। ৮ ওভারে ৫৩ রান দিয়েছেন তিনি। ভারতের ১১৭ রানের মধ্য়ে ৫৩ রান এসেছে তাঁর বোলিংয়েই। এ কারণেই অস্বস্তি স্টার্কের। আক্রমণাত্মক বোলিং করলে রান খরচ হওয়াটা প্রত্য়াশিত, এ ভাবেই নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন স্টার্ক।